received 883594609780971


স্টাফ রিপোর্টার-

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার বিরোধ বহু পুরোন একটি সমস্যা। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি ইসরাইলের আচরণ সমস্যাটি ক্রমেই আরো জটিল করে তুলছিল এবং একটি বিষ্ফোরণ অব্যশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যা ঘটছে যা ঘটলো তা একটি সভ্য সমাজে কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এই সমস্যার এখন একটিই সমাধান, আর তা হলো দুটি আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি, যে বিষয়ে জাতি সংঘের একটি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জাতি সংঘের এই দীর্ঘ-উপেক্ষিত সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নই এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নতুবা পরিস্থিতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ জানেনা। বর্তমান পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা পৃথিবীতে । জনাব আতাউল্লা খান আরো বলেন সারাবিশ্বে আগ্নেয়াস্ত্রের নগ্ন প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইজরাইলী বর্বরতার রুখতে ওআইসি কে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সেই সাথে ইসরাইলী দোসরদের বয়কট করতে হবে।

ইসরাইলী বর্বরতা রুখতে প্রতিবাদী কবিতা গান ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিদ্রোহী দ্যা নজরুল সেন্টার এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান এ কথা বলেন।

বরেণ্য নজরুল গবেষক, শিক্ষাবিদ ও রাস্ট্র চিন্তক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু এর উপস্থাপনায় পল্টন নৈতিক সমাজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাগ্রত হোক বিশ্ববিবেক শীর্ষক প্রগতিবাদী কবিতা গান ও আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান বলেন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এখন সবচেয়ে জরুরী বিষয়। আর এটি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একাজে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত অগ্রসর হলে অন্যরাও তাকে অনুসরণ করবে। বাইডেন প্রশাসনকে অবিলম্বে এই অত্যন্ত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

আমি এই বিরোধের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবিলম্বে বৈরিতা অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি এবং এই ভয়ংকর সংকটের মধ্যে নিপতিত নিরাপরাধ শিশু ও বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সাবেক রাস্ট্র দূত ও বরেণ্য রাস্ট্র চিন্তক মেজর জেনারেল অবঃ আমসা আমিন বলেন, ইসরাইলী হানাদর বাহিনী এর বর্বরতায়আমরা বিক্ষুব্ধ।
দুর্দশাগ্রস্ত জনসাধারণের নিকট জরুরী মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবন রক্ষা, মর্যাদার সুরক্ষা এবং সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করার উপর আমাদের সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।

আসুন, আমরা সকলেই মানুষের দুর্দশার অবসান ঘটাতে, দুর্দশাগ্রস্তদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সহায়ক ও অর্থপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করি এবং দ্রুততম সময়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সকল আয়োজন সম্পন্ন করি।
মূল প্রসঙ্গ উপস্থাপন করে প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু বলেন
এই দিনে এবং এই যুগে আমাদের সকলেরই সম্মিলিতভাবে এই বোধোদয় হওয়া উচিত যে, যুদ্ধ ও রক্তপাত আধুনিক সভ্যতার মূল্যবোধ ও অগ্রগতির সাথে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হত্যা ও ধ্বংসের এই অর্থহীন তান্ডবলীলা সারা বিশ্ব ব্যথিত হয়ে দেখছে, এবং ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি, সংহতি, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের একটি ভবিষ্যত তৈরীর জন্য কাজ করা এখন আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।বিশ্ব কি দেখছে , আমরা কি দেখছি? গাজায় এ তো ” লাইভ গণহত্যা “। ইজরায়েলের এবারের মিশন শিশু হত্যা!! একটি জেনারেশন কে শেষ করে ফেলা। বড় পাপ হে, বড় পাপ!!

প্রধান আলোচক বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন বিদ্রোহী দ্যা নজরুল সেন্টারের আয়োজনে কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের প্রতিবাদী কবিতা এবং আলোচনা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা এবং গান দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বর্বর বৃটিশদের ও পাকিস্থানীদের লেজগুটাতে বাধ্য হয়েছিল।
বিশ্বে কবিতা, গান ও লেখনী যে কত বড়শক্তিশালী আমরা সবাই জানি।
কলমের চাইতে বড় অস্ত্র আর কিছুই হতে পারে না। বিশ্বের সকল জালেম বর্বরদের বিরুদ্ধে কলম শানিত করতে লেখকদের আহবান জানান।
শান্তি সম্প্রীতি মানবতা বিশ্বের জন্য কবিতা গান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডক্টর মোঃ সাইদুর রহমান সেলিম, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক এমদাদুল হক চৌধুরী, রাজনীতিবিদ সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ডক্টর শরীফ সাকী, মির্জা আজম, ও প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করেন জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিশনাল ডিরেক্টর কবি হাসিনা মমতাজ হাসি,কবি মনিরুজ্জামান কবি ও কথা সাহিত্যিক নাসরিন ইসলাম, কবি হুমায়ুন কবির, কবি সুলতানা রাজিয়া কবি রাব্বি মোল্লা, আবুল বাশার মজুমদার প্রমূখ।
আগামীতে শান্তি, মানবাতা, সম্প্রীতি ও নৈতিক বিশ্বের পক্ষে প্রতিবাদী কবিতা ও গান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *