
নিজস্ব প্রতিবেদক
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কী পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, সেটি নিরূপন করতেও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতারণা থেকে বিরত রাখতে না পারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং যে বা যাদের অবহেলার কারণে ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পৃথক রুলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ তদন্ত এবং ই-কমার্স বাণিজ্য তদারকির জন্য স্বাধীন রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব ও আনোয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
ই-কমার্স বিষয়ে হাইকোর্টে গত বছর পৃথক তিনটি রিট দায়ের করা হয়।