
২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে চলতি অর্থ বছরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরোতে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার বিকাল তিনটার পর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই অর্থবছরে অনেক চড়াই-উৎরাই আসবে। তবে এবারের বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এটি তার চতুর্থ বাজেট পেশ। আর বাংলাদেশের জন্য ৫১তম।বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
করোনার অভিঘাতে বিপর্যস্ত মানুষ ও গরিবের জন্য এই বাজেট উপকারী নয় বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। বাজেটের সমালোচনা করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডিসহ অনেকেই।
এ অবস্থায় বাজেট নিয়ে ব্রিফিং ও নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থমন্ত্রী। তার সঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।