কয়েক দিন আগে শেষ হয়েছে বিবাহিত নারীদের প্রতিভা ও মেধা বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২২’। তবে শেষ ধাপে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কে জড়িয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বির। তার বিরুদ্ধে নারীর পোশাক নিয়ে বুলিংয়ের অভিযোগ এনেছেন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ইশরাত পায়েল।

এ ঘটনায় নেটিজেনদের কেউ কেউ নেতিবাচক, আবার কেউ কেউ বিনোদন ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশে ছিল না মন্তব্য করছেন। এরই মধ্যে দর্শক থেকে শুরু ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকা এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। এবার সহকর্মী মীর সাব্বিরের পাশে দাঁড়ালেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লেখেন, মীর সাব্বির ভাই আমার একজন প্রিয় সহকর্মী, বড় ভাই।

তিনি এমন একজন মানুষ, যার ব্যাপারে কোনো সহশিল্পীর কোনো অভিযোগ নেই। তার একজন নারী সহশিল্পী হিসেবে আমি বলতে পারি, সবসময় অভিভাবকের মতো উনার সহযোগিতা পেয়েছি। অনেক শিল্পীর বিপদে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। কোনো স্বার্থ ছাড়াই, ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থের কথা বিবেচনা করে, ভালোর জন্য অনেক নতুন পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীকে ব্রেক দিয়েছেন মীর সাব্বির ভাই।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর আরও লেখেন, তিনি সবসময় খুব মজা করে, খুব রসিকতা করে কথা বলেন। উনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, আমরা যারা তাকে চিনি আমরা সবাই এটা জানি। সেদিন তিনি রসিকতা করেই কথাটা বলেছিলেন। একজন নারী শিল্পী হিসেবে সবসময় তার কাছে অনেক সম্মান পেয়েছি। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, কাউকে কষ্ট দেবার জন্য বা কাউকে ছোট করার কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২’-এ বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা মীর সাব্বির। উপস্থাপনা করেন ইসরাত পায়েল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মীর সাব্বিরকে মঞ্চে ঢেকে নেন পায়েল। মীর সাব্বির-পায়েল পরস্পরের সঙ্গে রসিকতাও করেন। মীর সাব্বির মঞ্চ ছাড়ার সময় তাকে বরিশালের ভাষায় নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ দিতে বলেন পায়েল।

জবাবে সাব্বির বলেন, ‘আমি সংলাপ মুখস্ত রাখতে পারি না’। আবারও অনুরোধ করলে মীর সাব্বির বরিশালের ভাষায় পায়েলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই মাতাড়ি তুমি এরকম উদলা গায়ে দাড়াই আছ কিল্লাইগা’? বরিশালের ভাষায় মীর সাব্বিরের কথা শুনে হেসে দেন পায়েল। দর্শকসারিতে থাকা অনেকে তখন হাততালি দিচ্ছিলেন। মীর সাব্বিরের হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে পায়েল হাসতে হাসতে বলেন, ‘ওহ মাই গড। থ্যাংক কিউ সো মাচ’।

পরে অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পায়েল দাবি করেছেন, তাকে বুলিং করা হয়েছে। পরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মীর সাব্বির এ বিষয়ে নিরবতা ভাঙেন। তিনি জানান, এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। একটা ছোট্ট বিষয়কে হঠাৎ করে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে। উপস্থাপিকা মজার ছলে আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা শুনতে চেয়েছেন। যেহেতু আমি বরিশালের ছেলে। আমি যে কথাটা বলেছিলাম, সেটা উপস্থাপিকা চমৎকার হেসে রিসিভ করেছেন এবং দর্শকরা তখন মজা পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটা তাৎক্ষণিক এবং এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে হেয় করার জন্য কিছু বলি নাই । সেটা নিশ্চয়ই সকলেই যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পেরেছেন। উপস্থাপিকা আমার ছোট বোনের মতো। সে যদি কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *