নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুড়িগ্রাম থেকে ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কের রায়গঞ্জ ব্রিজ এর আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন থেকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন বাসী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কর্তৃক।

মঙ্গলবার ২০ (সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৪.৩০ থেকে ৫.৪০ পর্যন্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন নেতা আশরাফুল আলম সবুজের আয়োজনে আন্ধারীঝাড় বাজার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় প্রতিবাদ সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী, প্রভাষক ও সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ সভায় প্রায় শত শত ছাত্র ছাত্রী এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করে। সমাবেশে আশরাফুল আলম সবুজ বলেন এই নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত যদি বন্ধ না হয় তাহলে আগামী দিনে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

আন্ধারীঝাড় কিন্ডার গার্ডেন ও হাই স্কুলের সহ -কারী শিক্ষক জনাব মোঃ মোজাদুল ইসলাম প্রামাণিক, মোঃ শাহিন আলম সাবেক ছাত্র নেতা এবং এস,এম আশরাফুল আলম সবুজ( সাবেক ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, আন্ধারীঝাড়) সহ আরও অনেকেই। বক্তৃতায় সরকারী নিয়ম মোতাবেক রাস্তার কাজ করতে আহব্বান জানিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিম্নমানের কাজ বন্ধ করনে গণস্বাক্ষর করেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা জানান,নাগেশ্বরী থেকে ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কের আওতায় ব্রীজ পাড় হতে সড়ককাটা পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স কর্তৃক বেইজের কাজ সমাপ্ত না করেই অন্যত্র রাস্তায় গর্ত করে যাতায়াতে দুর্ভোগের সৃষ্টি করায় ঢাকা গামী পরিবহন গুলোতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাস্তার দু- পাশে বর্ধিত করনে গর্ত করে গর্তের ভরাট নুন্যতম রিকয়ারমেন্ট ৮০ এফএম বাই ৫০/৫৫, এবং খোয়ার সাথে ১.০০ এর পরিবর্তে নিম্নমানের বালু ও মাটি মিশ্রিত. ৬০ এফএম ইটের খোয়া ন্যুনতম ১০০ নিউট্রন এর পরিবর্তে পুর্বে নির্মানের সময়ে ব্যবহৃত ইটের খোয়া ৪০/৫০/৬০ নিউট্রন ব্যবহার করে আসছে। উল্লেখ্য সরকারী নিয়মানুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে রাস্তার কাজ করার নিয়ম থাকলেও তারা নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। এলাকাবাসী কয়েকবার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ বন্ধ করার কথা বললেও তারা কাজ অব্যাহত রেখেছে এবং কেউ বাঁধা দিলে মামলার বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আজ তারা প্রতিবাদ সভা ও গণস্বাক্ষর গ্রহন কার্যক্রমের আয়োজন করে। আয়োজকরা জানায় অনতি বিলম্বে এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ বন্ধ করুন।

মনিটরিং টিম দিয়ে দ্রুত নির্মান সামগ্রী পরীক্ষার পর সুষ্ঠভাবে মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। শীঘ্রই তারা ঠিকাদারের নিম্নমানে সামগ্রী দিয়ে কাজ বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার/জেলা প্রশাসক/সড়ক ও সেতু মন্ত্রী/সড়ক ও জনপথ প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে গনস্বাক্ষরকৃত অভিযোগ দায়ের করবেন। এ বিষয়ে কয়েকবার কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের মুঠোফোনে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সরকারী বিধিমোতাবেক রাস্তার কাজ পরিচালনা করতে সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *