
সাইফুল আলম দুলাল কেন্দুয়াপ্রতিনিধি :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বেখৈরহাটী এন,কে উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করায় কোরাম নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
কমিটি নিয়ে সৃষ্টি এই ঘটনায় এলাকায় সংঘাতসহ শিক্ষা কার্যক্রম দারুণভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ময়মনসিংহের
মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফরমেট অনুযায়ী সভাপতি মনোনয়নের জন্য তিন জনের নামের তালিকাসহ এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বোর্ড কতৃপক্ষ আবেদিত ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে হাফিজুর রহমান তালুকদার নামে একজনকে
সভাপতি পদে মনোনয়ন দিয়ে গত ৯ মে কমিটি অনুমোদন দেন।
হাফিজুর রহমান তালুকদারকে সভাপতি করে দেয়া কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসাবে মোঃ আলতাফুর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে আফরোজা আক্তারকে অনুমোদন দেয় বোর্ড।
৩ সদস্যের এই কমিটিতে পদাধিকার বলে সদস্য সচিব থাকবেন দ্বায়িত্বে থাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সম্প্রতি নতুন এই এডহক কমিটির প্রথম সভা আহবান করা হলে
বিদ্যালয়ের অভিভাবক মহলে দারুনভাব ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা এই কমিটিকে মেনে নিতে পারেনি।
এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
গত ২৮ মে বিদ্যালয়ের পাশে আবেদিত ৩ জননের সাথে নবগঠিত কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান তালুকদারের লোকজনের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।
এরই জেরে গত ৬ জুন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে কমিটির জটিলতায় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। কোরাম সংকটে সভা পন্ড হওয়ায় বেতন-ভাতা উত্তোলন হবে কার স্বাক্ষরে এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা পড়ে দুশ্চিন্তায়। শেষমেশ দ্বারস্থ হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমের কাছে। নতুন এই কমিটির কোরাম সংকটসহ আইনির বিস্তর জটিলতা উল্লেখ্য করে শিক্ষক-কর্মচারীদের চলতি বেতন-ভাতা উত্তোলন বিলে প্রতিস্বাক্ষরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমের নিকট আবেদন করেন বিদ্যালয়টির দ্বায়িত্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লোবানা নাসরিন রানী।
এব্যাপারে লোবনা নাসরিন রানী জানান,কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করায় কোরাম সংকটের কারণে সভা করা সম্ভব হয়নি।
এমতাবস্থায় রেজুলেশন ব্যতিত সভাপতির প্রতিস্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা কোন ভাবেই উত্তোলন সম্ভব নয়।
এডহক কমিটি গঠন না করা পর্যন্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতায় প্রতিস্বাক্ষর করা আইনগত ভাবে একমাত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় করতে পারেন। তাই স্যারকে সবদিক অবগত করে
শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় প্রতিস্বাক্ষরের আবেদন করেছি।
সাধারণ শিক্ষকরা জানান,
মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের সুযোগদানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম জানান,বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি,
ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব