
মহিউছ ছাইয়েদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়:
স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই আয়োজন ছিল ঢাকা সাভারে অবস্থিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে গণ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। এসময় হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি)সকালে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার নির্বাহী পরিচালক ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরিদা আখতার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.আবুল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হারিস সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলে লক্ষ্য করা যায় প্রায় শতাধিক প্রকারের পিঠার সমাবেশ। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি,তক্তি, নকশি পিঠা, ডিমের পুডিং,পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরন, গোকুল পিঠাসহ হরেক রকমের রসালো পিঠা।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজক কমিটি জানান, এ উৎসবে আমাদের লক্ষ্য পাশ্চাত্য আকাশ সংস্কৃতি থেকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সহ সকলকে মুক্ত করে সবার মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলা। এ সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই রঙ বেরঙ্গের পিঠা তৈরিতে নিয়োজিত শিক্ষার্থীসহ যারা এই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছে তাদের সবাইকে জানান প্রাণঢালা অভিনন্দন।