কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা বুধবার সকালে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া বাজারে মাদক উদ্ধার অভিযানে এসে জনরোষের শিকার হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগে দোকানদার লালনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে আটকে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহাবুবা জেসমিন রুমা ঘটনাস্থলে এসে মিমাংসার মাধ্যমে সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, নুর নবি, মো. জাহিদুল ইসলাম ও সজিবুল আলম লোক পাঠিয়ে কয়া বাজারের লালন শেখের দোকান থেকে পাঁচশত টাকার নোট দিয়ে ১ প্যাকেট সিগারেট নেয়। বাঁকী টাকা ফেরত নেবার কিছু সময়ের মধ্যে তারা বাজার কমিটির সভাপতি মো. রবিউল শেখ ও সেক্রেটারী মিলন হোসেন মিঠুকে সাথে নিয়ে এসে লালনের দোকান তল্লাশির কথা বলেন। এসময় বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি উভয় লালন ভালো ছেলে সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না বললেও তারা দোকান তল্লাশি করেন। দোকানে কোন মাদকদ্রব্য পাওয়া না গেলে আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয়রা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের প্রতি ক্ষুব্ধ হলে জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা লালনের দোকানের মধ্যে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে কুমারখালী থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিমাংসার মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে লালন শেখ জানান, তার দোকানে ৫ শত টাকার নোট দিয়ে এক প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট কিনতে আসলে তিনি সিগারেটের দাম রেখে বাকি টাকা ফেরত দেন। কিছুক্ষন পর বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীর সাথে কয়েকজন এসে বলেন তুমি গাঁজা বিক্রি করো আমাদের লোক তোমার দোকান থেকে গাঁজা কিনে নিয়ে গেছে। এই কথা বলে দোকান তল্লাশী করে। দোকানে কোন মাদক না পেলে প্রতিবেশী দোকানদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে আটকে রাখে। লালন আরো জানান, একই সময়ে তার বাড়িতেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আরো দুজন সদস্য অভিযান চালাতে গেলে তাদের হাতে গাঁজা থাকায় প্রতিবেশী মহিলারা তাদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।

এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাদক উদ্ধার অভিযানে এসে জনরোষের শিকার হয়েছেন সংবাদ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *