
এম শাহজাহান মিয়া শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসা নিতে এসে স্বর্ণালঙ্কার(গলার চেইন) খোয়ালেন ৩ নারী। হাসপাতালে চোর ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটে আসছে। হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে চুরি ও ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা বলে অভিযোগ রয়েছে । ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে উঠেছে চোর ও ছিনতাইকারী চক্র। প্রায় দিনই চক্রটি নিরীহ রোগীদের টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে । বহির্বিভাগসহ ভর্তিকৃত রোগীরাও এই চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
ছিনতাইয়ের শিকার রিনা পারভীন জানান, সে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট নিতে টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ায়। লাইনে তার পাশে বোরকা পরিহিত এক নারী হটাৎ অসুস্থতার ভান করে পড়ে যেতে থাকলে সে তাকে ধরে উঠানোর চেষ্টা করে । একটু পর ওই নারী বলে আমি সুস্থ হয়ে গেছি এবং লাইন থেকে সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর রিনা পারভীন দেখে তার ১ ভরি ৩ আনা ওজনের সোনার চেইনটি গলায় নেই।
মাহফুজার আক্তার রুমি নামে একজন জানান আমি চিকিৎসা নিতে মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে যাই এবং আউটডোরে টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়াই । হাসপাতাল থেকে বাসায় এসে দেখি আমার ৬ আনা ওজনের গলার চেইনটি নাই। আরও এক ভুক্তভোগী শাহিদা আক্তারের স্বামী জানান তার স্ত্রী গাইনি ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়ায় এবং একটু পরে দেখে তার ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইনটি গলায় নেই। ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন প্রতিদিন আউটডোরে রোগীর ভীড় হয়। জনবলের অভাবে এখানে শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের নিয়মিত কোন ডিউটি এখানে না থাকায় চোর ও ছিনতাইকারীরা অভয়ে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা চেষ্টা করবো রোগীরা যেন নির্বিঘ্নে সেবা নিয়ে ফিরতে পারে। ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই । অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে