
মোঃ ইকবাল মোরশেদ স্টাফ রিপোর্টার।
নোয়াখালীতে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে ডাক বিভাগের তিন কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএসএম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারী পোস্টমাস্টার মো. মুনীর চৌধুরী শহিদ ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেন।
রায়ে আসামি রীনা রানী মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে একটি ধারায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও ১৬ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড; আরেকটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপর আসামি মুনীর চৌধুরী শহিদকে একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড; আরেকটি ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা যুগপৎভাবে কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের জেলা কার্যালয়ের পিপি আবুল কাশেম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মোঃ মুনীর চৌধুরী শহিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানো এবং বাকি পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আমামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে ওই বছরের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাত কর্মদিবসে ৫৪টি ইএমও (ইলেকট্রনিকস মানি অর্ডার) মেসেজ জালিয়াতি করে ডাক বিভাগের ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার এসএম শহীদ উল্যাহ বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর ১৭) করেন। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।