
ডিমলা,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সাবরেজিস্টার অফিসে দলিল পার করতে গিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমি দলিল করতে আসা ব্যক্তিরা বলেন সাবরেজিস্টার অফিসে নানা অনিয়মের ফাঁদে পড়ে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত বাড়তি টাকা। দলিল প্রতি আঙ্গুলের ছাপ( টিপ বহিতে) ১’শ টাকা ও দলিল জমা দেওয়ার জন্য প্রতি দলিলে নেওয়া হচ্ছে ১৫’শত টাকা । নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একের অধিক দলিল লেখক (সরকার) বলেন, আমাদের কে কড়া বার্তা দিয়ে প্রত্যেকটি দলিল ১৫ শত টাকা সাবরেজিস্টার অফিস কেরানি এর মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
অফিস কেরানির কাছে দলিল প্রতি ১৫ শত টাকা জমা হওয়ার পর সাবরেজিষ্টার মনিষা রানী বরাবর দলিল হস্তান্তর হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি ষ্টামের পাতা প্রতি ৬০ টাকা এর মধ্যে ব্যাংক পে-অর্ডার ২৪ টাকা অবশিষ্ট ৩৬ টাকা নকল নবিশ লেখনীয় ব্যক্তিদের সম্মানী দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে জমির পরিমাণ অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫,পাতার মধ্যে একটি দলিল সীমাবদ্ধ থাকে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯শত টাকা দ্বারায় ১৫ পাতার দলিলে । তিনি সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে দলিল লেখক সরকার কে জিম্মি করে উপজেলায় অফিস কেরানির মাধ্যমে ১৫ শত টাকা পার দলিলে হাতিয়ে নিচ্ছেন এবং আঙুল ছাপ টিপ বইতে দলিল প্রতি নেওয়া হচ্ছে ১শত টাকা।
দীর্ঘ বছরের পর বছর সাবরেজিস্টার অতিরিক্ত বাড়তি টাকা আদায় করেন।
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাবরেজিষ্টার একই নিয়ম চালিয়ে আসছেন নেই কোন প্রতিকার।
এবিষয়ে সাবরেজিস্টার কর্মকর্তা মনিষা রানীর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সুত্র মতে জানা যায় সাবরেজিষ্টার মনিষা রানী স্থায়ী ভাবে দায়িত্বে আছেন তার নিজ বাড়ি জলঢাকা উপজেলার বড়ভিটায়। তিনি নিজ উপজেলায় প্রায় ৫ বছর যাবত সাবরেজিস্টার পদে কর্মরত আছেন।
বুধবার, বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন ডিমলা উপজেলায়।
অভিযোগ রয়েছে সাবরেজিস্টার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দলিল পার করে । অন্যদিকে আবার আঙুল থাম বই টিপ, দলিল প্রতি ১শত টাকা নেওয়া হয়। প্রতিটি জাবেদা নকল সই করতে ১৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
এভাবেই চলে আসছে সাবরেজিষ্টারের কৃতকর্ম। সরকারি বেতন ব্যতিত তার সপ্তাহে বাড়তি আয়ের উৎস লাখ লাখ টাকা।
তিনি তার সঙ্গী হিসেবে রেখেছেন জলঢাকা উপজেলার ঝাড়ুদার শ্যামলী রায় কে। অনেক সময় শ্যামলী রায়ের মাধ্যমে ভেজাল দলিল পার করার নামে কন্টাক্ট করে দলিল পার করান জলঢাকা উপজেলায়। জ
ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ভেজাল দলিল পার করার অপরাধে নীলফামারী জেলা আদালতে মামলাও হয়েছে।
সার্বিক তদন্তে গতকাল সোমবার দুদক টিম ডিমলা সাবরেজিস্টার অফিসে আসে।