এমদাদুল হক মাসুম, ডোমার প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে সাংবাদিক দম্পতি কাওছার আল হাবীব ও নূরে রোকসানার বাসায় চুরির ঘটনায় বেলাল হোসেন(৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোনারায় মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেলাল হোসেন উপজেলার পূর্ব চিকনমাটি হুজুর পাড়ার মৃত আজিজুল ইসলাম ওরফে এসলামের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক জামিলুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনার পর থেকে বেলালের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। চুরির পর থেকে বেলাল ঢাকায় গিয়ে বার বার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। কিছুদিন পুর্বে তার বাড়িতে গিয়ে থানায় আসতে বললে তার স্ত্রী খারাপ আচরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন রাতে উক্ত সাংবাদিক দম্পতির বাসার দরজার লক কেটে প্রবেশ করে প্রায় ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর পুলিশ বাদীর আত্মীয়, ভাড়াটিয়াসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি সবাই স্বাভাবিকভাবে নিলেও স্থানীয় মুদি দোকানী বেলাল চুরির পর থেকেই পলাতক থাকে এবং তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা না হয় তার জন্য বিভিন্ন লোক দিয়ে থানায় সুপারিশ করেন। অজ্ঞাত মামলা হলেও প্রধান সন্দেহভাজন তালিকায় ছিল পলাতক বেলাল। তাকে আটকের চেষ্টা করলেও পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াতেন। ঈদুল আযহার সময় তদন্ত কর্মকর্তা ছুটিতে গেলে বাড়িতে এসে মামলার পক্ষে কথা বলায় কয়েকজনকে হুমকী প্রদান করে বেলাল ও তার স্ত্রী। ঈদ ছুটি শেষে তদন্ত কর্মকর্তা যোগদান করলে সে আবারও আত্মগোপনে চলে যায়। এলাকায় মাঝে মাঝে দেখা গেলেও অধিকাংশ সময়েই পালিয়ে থাকতেন।
মামলার বাদী কহিনুর বেগম বলেন, মামলা করেছি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে। কিন্তু মামলার পর থেকেই বেলাল বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে ফোন দিয়েছে যাতে তার নাম উল্লেখ না করি। অন্যদিকে স্থানীয় মেম্বার, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ফোন দিয়ে থানায় হস্তক্ষেপ করেছে বলেও জানতে পেরেছি।
কহিনুর বেগম আরও বলেন, আমার ছেলেরা বাইরে থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, জমি বন্ধকসহ লেনদেন তার মাধ্যমে করতাম, সেই সুবাদে সে টাকা রাখার বিষয়টি জানতে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী বলেন, সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#