
আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ফের স্থগিত। অভিযোগের তীর সভাপতি-সম্পাদকের দিকে। সম্মেলন হলে তারা নিশ্চিত ছিটকে পড়বে, এই আতঙ্ক থেকেই তারা বার বার সম্মেলন পিছিয়ে দিচ্ছে। যদিও বা এখানো দলের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আগামি ১৬ জুন সম্মেলন আয়োজনের কথা ছিল। এদিকে সম্মেলন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে
তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ফের বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি, যেকোনো সময় যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সভাপতি-সম্পাদক কি তার দায় নিবে ? তাদের ব্যর্থতার দায় তো সাধারণ নেতাকর্মীরা নিবেন না নিতে পারেন না।
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এদিকে সম্মেলন আয়োজনের খবরে দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ তাদের মধ্যে বিরাজমান
দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ও ক্ষোভ অসন্তোষ ভুলে তারা মুলধারার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এমপিমুখী হয়ে নবউদ্দ্যোমে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, উপজেলা সম্মেলন করার দায়িত্ব উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকের তারা জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলন করবেন। কিন্ত্ত প্রায় ১০ বছর যাবত সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন দলীয় পরিচয় ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে মোটাতাজা হয়েছেন।কিন্ত্ত সাংগঠনিকভাবে সংগঠনকে কিছু দিতে পারেননি। এমনকি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হলেও পর পর তিন বার সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেও আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো যে সভাপতি-সম্পাদক তিন তিনবার দিন নির্ধারণ করেও সম্মেলন করতে পারেন না, তারা আদৌ কি সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখেন। অসমর্থিত একটি সুত্র জানায়, সভাপতি-সম্পাদককে পুনঃরায় নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রের কতিপয় নেতা বিপুল অঙ্কের ক্যাশ হাতিয়ে নিয়েছেন।কিন্ত্ত মাঠে নেমে দেখছেন সভাপতি-সম্পাদক তো পরের কথা তাদের কমিটিতে রাখা প্রায় অসম্ভব। যে কারণে ক্যাশ হালাল করতে কতিপয় ওই নেতা সম্মেলন আটকিয়ে রাখতে নানা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়েছে বলে তৃণমুলের ভাষ্য।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ বা নৌকা কি কারো ব্যক্তিগত সম্পতি যে যখন যার মন চাইবে তখন তিনি নৌকার বিরোধীতা করবেন, আবার প্রয়োজনে নৌকায় ফিরবেন। না কি এরা ড, কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকী বা হাজি সেলিমের থেকেও বড় নেতা। তাদের ছাড়া যদি আওয়ামী লীগ চলে তাহলে রাব্বানী-মামুনকে বাদ দিয়ে কেনো আওয়ামী লীগ চলবে না। তারা সম্মেলন নিয়ে যে ইঁদুর-বিড়াল খেলা শুরু করেছে, তাতে তাদের বাইরে রেখে সম্মেলন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়ে উঠেছে। কারণ এমন অর্থব সভাপতি-সম্পাদককে আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাইনা। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফ খাঁন বলেন, যারা নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে এবং যারা বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করেছে তারা দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক অটো বহিস্কার, নেতৃত্ব তো পরের কথা সাংগঠনিক পদে তাদের প্রার্থী হবার যোগ্যতা নাই।