
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের বাধাঁইড় ইউনিয়নের (ইউপি) হাঁপানিয়া মহিষপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ও গভীর নলকুপ অপারেটর মন্টুর দাপটে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের চ্ছত্রছাঁয়ায় থেকে মন্টু গ্রামে ত্রাসের রাজ্বত্ব কায়েম করেছে। এসব গ্রামবাসির মাঝে চাঁপাক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে, তবে মন্টুর ভয়ে কেউ মুখখোলার সাহস পাচ্ছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১২ জুন রোববার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেপথ্যে মদদে মন্টু, প্রায় ১০ জন বহিরাগত ভাড়াটিয়াসহ গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে আসে। এ সময় ৪ জন সাইদুরের তার হাত-পা ধরেছিল এবং ২ জন লাঠি দিয়ে মেরে তার শরীরের নিচের দিক অবশ করে দেয় এমনকি তাকে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মুখমন্ডল থেতলিয়ে দিয়ে তার পকেট থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে সাইদুর রহমানের স্ত্রী তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও চুলের মুঠি ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ফেলে দিয়ে প্রায় বিবস্ত্র করে তার শ্লীলতাহানি করে। এমনকি তাদের ১৪ বছরের সন্তান তাদের স্বামী-স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে, মন্টু বাধা দিয়ে অটোরিকশা চালককে হুমকি দেয় সাইদুরকে হাসপাতালে নিলে পরিনত
খারাপ হবে। অন্যদিকে গ্রামবাসী ঘটনা মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে জানালে পুলিশ গিয়ে বিধস্ত অবস্থায় তাদের স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসি বলেন, জমিতে (সেচ) পানি নিতে গেলে বেশি টাকা ছাড়া পানি দেয় না, এবং অর্ধেক জমি তাকে ফসল না করতে দিলে এক সিজিনের আবাদ করতে দেয় না চেয়ারম্যানের চ্যালা মন্টু। সাইদুর রহমানের জমিতে পানি না দেয়ায় সে নিজে মটর বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ কথা শোনার পর মন্টুর নির্দেশে গবাদি পশু দিয়ে সাইদুরের জমির ফসল নষ্ট করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর মন্টু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইদুরের সঙ্গে তার ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা ঠিক হয়ে গেছে। এবিষয়ে সাইদুর রহমান বলেন, সে গরীব বলে মন্টু তাদের স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট করে মটর বসানো ৩০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে। কিন্ত্ত তার ভয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না।