
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর আগামী ১৬ জুন বৃহস্প্রতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হতে চলেছে। তবে এবার সম্মেলনে উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কপাল পুড়ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগ আমজনতার দল এই দল যেকোনো সময় যেকোনো কাউকে ছুড়ে ফেলতে পারেন, সেই সক্ষমতা তাদের রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধীতা করেছে, যারা তাদের মদদ দিয়েছে, তারা যতো বড় নেতাই হোক না কেনো, দলের সাংগঠনিক কোনো পদে তাদের রাখা হবে না, কমিটি গঠনেও কোনো ভুমিকা থাকবে না। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা যেটা বলেন সেটা করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেও যদি তারা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ পায় তাহলে সেটা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রধানমন্ত্রীকেই ছোট করা হয় বলে মনে করছে তৃণমুল। সভাপতি শেখ হাসিনার এমন ঘোষনায় রাব্বানী-মামুনকে নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে এসব আলোচনার সুত্রপাত হয়েছে। জানা গেছে,বিগত ২০১৩ সালে স্থানীয় সাংসদের বদৌলতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী সভাপতি ও আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পর তারা দুজন এমপির দুই বগলের নিচে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের দুরে ঠেলে দিয়ে তারা টাকার কুমির হয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আগামিতে রাব্বানী এমপি এবং মামুন উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নামে রাব্বানী। কিন্ত্ত মনোনয়ন তো পরের কথা সর্বস্ব খুঁইয়ে লেজ গুটিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাব্বানী ও মামুন এমপির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নালিশ করে তা প্রমানে ব্যর্থ হয়। এর পর সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৬ ডিসেম্বর মুন্ডুমালা কলেজ চত্ত্বর শহীদ মিনারে জেলা বিএনপির সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌর সভার মেয়র প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের হাতে হাত রেখে শপথ করেন এমপি ফারুক চৌধুরীকে তানোরের মাটিতে আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। এখানেই শেষ নয় জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, গোদাগাড়ী,কাঁকনহাট ও মুন্ডুমালা পৌরসভা, কলমা ইউপির উপনির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এরা প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। এমনকি ২০১৮ সাল থেকে এরা আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো কর্মসুচিতে সম্পৃক্ত নাই। তাহলে যাদের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ তারা কি বিবেচনায় বা কোন মুখে ফের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে চাই।যারা বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করেছে মদদ দিয়েছে তারা তো দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক অটো বহিস্কার, নেতৃত্ব তো পরের কথা সাংগঠনিক পদে তাদের প্রার্থী হবার যোগ্যতা নাই।