
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা ভুমি অফিস দালালদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,
কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল মিলেমিশে একাকার। ফলে কে কর্মকর্তা, কে কর্মচারী আর কে
দালাল সেটা নির্নয় করা সাধারণের পক্ষে বড়ই কষ্টকর। এতে সেবা প্রার্থীদের বাড়ছে হয়রানি, হচ্ছে অর্থ অপচয়। সুত্র জানায়, জিওলচাদপুর গ্রামের জনৈক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে দালাল ইকবাল হোসেন ও আলামিন আলী উপজেলা ভুমি অফিস নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বিল্লী গ্রামের জনৈক দালাল আব্দুল আলিম দরগাডাঙ্গা ও কামারগাঁ ভুমি অফিস নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিকে দালাল সিন্ডিকেট নানা অপকর্ম করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে অন্যদিকে ভুমি অফিসের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এক কর্মকর্তা বলেন, সিদ্দিক আলী, তার পুত্র আলামিন ও আলিম ভুমি অফিসে দালালি করে শূণ্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, সিদ্দিক, আলামিন, ইয়াকুব ও আলিমকে আটক করে দুদুকে তাদের এতো সম্পদ অর্জনে অয়ের উৎস্য ও সরকারকে কি পরিমাণ কর দেয় এসব বিষয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছ সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, তানোর উপজেলা ভুমি অফিস এবং আমশো ও দরগাডাঙ্গা ইউনিয়ন (ইউপি) ভুমি অফিসে কোনো সেবা প্রার্থী আশামাত্র কৌশলে তাদের দালালের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সম্প্রতি সার্ভেয়ার পুলকের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তাকে বদলি করা হয়। কিন্ত্ত তার পরেও দালালদের দৌরাত্ম্য কমেনি। এখন আবার এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কথিত সাংবাদিক, সংবাদপত্রকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এরা সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। স্থানীয়রা এসব দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) স্বীকৃতি প্রামানিক ভুমি অফিসে দালালদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেন, কারো বিরুদ্ধে সু-নিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে ইউপি ভুমি অফিসের তহসিলদার লুৎফর রহমান বলেন, ইয়াকুব আলী তার অফিসের কেউ না, সুতরাং তার দ্বারা কেউ প্রতারিত হলে সেই দায় তো তাদের না।