মোঃ আজিজুর রহমান বিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি:

বিরামপুর উপজেলা ৩নং খানপুর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড এর কুর্শাখালি

স্থায়ী বাসিন্দা কুর্শাখালি থেকে লক্ষীপুর যাওয়ার সড়কের দুই পাশে এক হাজার তালের চারা রোপণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন  দুই কৃষক। দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে তালগাছ লাগানো নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা হলেও বেশ কয়েক বছর আগে নীরবে-নিভৃতে এ কাজ শুরু করেছেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কুর্শাখালি গ্রামের দুই কৃষক তাল গাছ প্রেমী রাজু ও নূর ইসলাম অন্যদের ফেলা দেওয়া তালের বীজ সংগ্রহ করে নিজ খরচে এ পর্যন্ত এক হাজার তালের চারা লাগিয়েছেন তারা।

বিভিন্ন ভাবে এই বীজ নষ্ট হয়েছে, নষ্ট হয়েছে চারাও। এমনকি গাছও নষ্ট হয়েছে কিন্তু হাল ছাড়েননি রাজু ও নূর ইসলাম। কৃষি কাজের পাশা পাশি তাল গাছ রোপন ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করেই তারা পরম শান্তি পান বলে জানান। বেশ কয়েক বছর আগে তাদের রোপনকৃত তালের গাছ এখন কিছু সড়কের দু’ধারে দৃশ্যমান। বজ্রনিরোধক পরিবেশ বান্ধব এ গাছের চারা রোপণ ও পরিচর্যা করে ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর প্রসংসা কুড়িয়েছেন। কুর্শাখালি থেকে লক্ষীপুর যাওয়ার গ্রামের সড়কগুলোতে গেলে সারি সারি তালগাছ এক সময় নজর কাড়বে যে কোন প্রকৃতিপ্রেমীর। 

এখন অসংখ্য তাল গাছ আছে যেগুলো বড় হচ্ছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেক গাছই বড় হতে পারেনি। তারা বলেন আমরা একদিন থাকবো না কিন্তু এই তালের চারা আমাদের স্মৃতি বহন করবে শত শত বছর। মুলত তাল গাছের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকেই এ গাছ লাগিয়েছি আমরা পরিচর্যা করে আসছি। একটি তালগাছ পরিপক্ব হতে মূলত ২০ বছর সময় নেয়। এক সময় ধাপে ধাপে হয়তো অনেক গাছেই বড় হয়ে ফল আসবে। গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম নিবে, বজ্রপাত ঠেকাবে। এটি আমাদের চাওয়া 

লোকমান হাকিম এবং রেজাউল আলম নামের  পথচারী জানান, সড়কের পাশ ধরে সারি সারি তালগাছ হলে সত্যি অনেক ভালো লাগবে। এসময় কৃষক রাজু ও নূর ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অনেকেই। পরিবেশ বন্ধু রাজু ও নূর ইসলাম কৃত্তি এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন। ৩নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য তফির উদ্দিন জানান, রাজু ও নূর ইসলাম নিজ উদ্যোগে কুর্শাখালি থেকে লক্ষীপুর যাওয়ার বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য তালের চারা নিজ রোপণ করেছেন, যা এখন কিছুটা দৃশ্যমান। ভবিষ্যতে এ তালগাছগুলো দেশের সম্পদ হয়ে থাকবে, তাদের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *