বিশেষ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের বালু পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

এতে করে বিপুল অর্থে ব্যয়ে নির্মিত মসজিদটি টেকসই হবে না বলে আশঙ্খা এলাকাবাসীর।

বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এই মডেল মসজিদ।

এই প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ স্থাপিত হবে।

কেবল নামাজ আদায় ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান ও প্রসার,গবেষণাসহ নানা কাজ হবে এই মডেল মসজিদে।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তাহিরপুর উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মানের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বিশ্বাস বিল্ডার্স।কিন্তু নির্মাণ কাজটির শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও নিম্নমানের বালু পাথর ব্যবহারের।

সেই সঙ্গে কাজের ধীরগতিতে এলাকাবাসী যারপানাই ক্ষুব্দ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন তাহিরপুর উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার মাও. আব্দুল হান্নান জানান, তাহিরপুর উপজেলা মডেল মসজিদটি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ পায় ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।

কাজটি শুরু থেকেই ছিল নির্মাণ কাজের ধীরগতি।

অপরদিকে ঢালাইয়ের কাজে যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে তা ময়লাযুক্ত এবং বালুগুলোও হচ্ছে কয়লা মিশ্রিত।

আমি নির্মাণ শ্রমিকদের বলেছি বালু চালনি করে দিতে। কিন্তু কারো কোন কথা না শুনে তারা তাদের মনমতো কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলার সদরের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের রুসেল মিয়া(৩৫) বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি গিয়েছিলেন মডেল মসজিদটির নির্মানের কাজ দেখতে।

গিয়ে দেখেন ঢালাই কাজে কাঁদাযুক্ত বালু পাথর ব্যবহার করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।

তিনি আরো বলেন,নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের লোক ব্যতীত গণপূর্ত বিভাগের কোন প্রকৌশলী কিংবা কার্যসহকারীকে দেখা যায়নি।

থাকলে তাদের কাছে নালিশ করতাম।

তাহিরপুর মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বিশ্বাস বিল্ডার্সের প্রকৌশলী আলম মিয়া বলেন, আমার জানামতে ভালমানের বালু পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে।

গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, পাথরগুলো একস্থানে বহুদিন ধরে ছিল এজন্য দেখতে একটু অন্যরকম লাগে।

তবে পাথরগুলোর গুনগতমান ভালই।

বালুগুলো চালনি দেননি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বালুগুলোর মধ্যে কিছু পাতা রয়েছে এগুলো মালামাল মিকচারের সময় হাত দিয়ে

ফেলে দেয়া হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর বলেন, নির্মাণ কাজে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী উপস্থিত থাকার কথা।

তারপরেও নির্মাণ কাজে কোন ত্রুটি থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *