দেশে এবং প্রবাসে যে যেখানেই আছে সবাইকে আরবী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- জাতীয় চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর নাযিমে ইশাআত প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, সাপ্তাহিক বহমান বাংলা পত্রিকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক পূর্ব বঙ্গ এর সহকারী সম্পাদক, মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, এডিটর, দ্বীনের আলোয় আলোকিত জীবন এবং সবুজ মায়াবী হাসি যৌথ কাব্য গ্রন্থ দ্বয়ের সম্মানিত লেখক ও শিক্ষক কবি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ক্বারী মাওলানা মুফতী হারুনুর রশিদ হাবিবুল্লাহ্।

তিনি বলেন যে, দেশ ও বিদেশের সবাইকে জানাই আরবী নববর্ষ ১৪৪৫ হিজরী সনের প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি আরো বলেন যে, আরবী বছরের প্রথম মাসটির নাম হলো মুহাররম মাস যাকে “মুহাররামুল হারাম” বলা হয়েছে। আরবী বছরের বা হিজরী সালের প্রথম মাস। অর্থাৎ সম্মানিত মুহাররাম মাস। আল্লাহ যে চারটি মাসকে সম্মানিত করেছেন তার মধ্যে মুহাররাম মাসও রয়েছে। পূর্বের উম্মতদের জন্য সবচেয়ে সম্মানি রোজা ছিল এই মাসের রোজা। একে আশুরার রোজাও বলে।

ফরজ রোজার পরে তাদের নিকট সবচেয়ে দামী ছিলো আশুরার রোজা। আর আমাদের জন্য ফরজ রোজার পরে নফল রোজার মধ্যে সবচেয়ে দামী হলো আরাফার রোজা (অর্থাৎ যিলহাজ্জ মাসের ৯ম তারিখ)। আশুরার রোজা রাখার কারনে পেছনের যিন্দেগীর এক বছরের গুনাহ মাফ হয়।

ইয়াহুদিরা বলে যে আশুরার রোজা মুসা আ. এর যুগ থেকে এসেছে, আসলে তা নয়। আর মুসলমান নামধারী শি‘আ যারা সত্যিকার অর্থে কাফের তারা বলে বেড়ায় যে, আশুরা সম্মানীত হয়েছে ইমাম হুসাইন রা. এর সময় থেকে।

এই শি‘আদের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সমাজের সরলমনা ইলমবিহীন সাধারণ মুসলমান তাই বিশ্বাস করে বসে আছে। তাদের ধারনা এই দিনে ইমাম হুসাইন রা.শহীদ হয়েছে তাই এই দিনের এতো মর্তবা। অথচ আশুরার ফজিলত শুরু হয়েছে হযরত আদম আ. এর যুগ থেকে।

আগেই বলা হয়েছে আগের উম্মতের জন্য এই দিনে রোজা রাখা নফলের দিক দিয়ে অনেক দামী। এবং আমাদের নবী ﷺ এই মাসের মর্তবার ব্যপারে ইমাম হুসাইন রা. এর শহীদ হওয়ার আগেই বলে গেছেন।

সুতরাং যদি এভাবে বলা হয় যে এই দিনটি আগে থেকেই দামী আর আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন, শহীদদের সর্দার ইমাম হুসাইন রা. এর মর্যাদা আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তাঁর শহীদের জন্য এই দিনকে পছন্দ করেছেন। এতে একদিকে যেমন সঠিক কথা বলা হলো এবং অপরদিকে ইমাম হুসাইন রা. এর সন্মানকে মানুষের নজরে আরো উচুঁ করে তুলে ধরা হলো।

যেমনঃ আমাদের সকলেরই মৃত্যু আসবে। আল্লাহ যদি কোন মোমিনের মৃত্যু শুক্রবারে নির্ধারণ করে এর দ্বারা ঐ মোমিনের মর্তবা বাড়বে, শুক্রবারের নয়। ঠিক তেমনি যদি সোমবারে মৃত্যুবরণ করে তবে আরো দাম বাড়লো। শুক্রবার থেকে সোমবারে মৃত্যু মোমিনের জন্য বেশী বরকতময়।

পরিশেষে তিনি সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বলেন যে, এই মাসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় আমল আছে আল্লাহ তা’য়ালা যেনো আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে বুঝে পালন করার তাওফিক দান করেন। আমিন।

সেই সাথে নতুন স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং আশার উদ্দীপনা নিয়ে আসুক আরবী নতুন বছরের আগমনী দিন। সবাইকে জানাই আরবী নববর্ষ ১৪৪৫ হিজরী সনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শুভ নববর্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!