
জয়পুরহাটে সদর থানার হাজতে থাকা অবস্থায় মনিরুজ্জামান নামে এক আসামি অসুস্থ হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ৩৮ বছর বয়সী মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই আসামিকে শহরের নতুনহাট (দেওয়ানপাড়া) এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মনিরুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ। তিনি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি এ কে এম আলমগীর জাহান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই বছর আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে কুইন বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মনিরুজ্জামান। কুইন ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ১০ মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
তালাকের পর থেকে কুইন বেগম জেলার নতুনহাট (দেওয়ানপাড়া) এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে ওই ভাড়া বাসায় সাবেক স্ত্রীর কাছে যান মনিরুজ্জামান এবং আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কুইন রাজি না হলে তাকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেন মনিরুজ্জামান।
সদর থানার ওসি এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকেন কুইন বেগম। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মনিরুজ্জামানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেন কুইন।
পুলিশ আহত ও অসুস্থ অবস্থায় মনিরুজ্জামানকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আবারও থানা হাজতে নিয়ে আসে।
বুধবার সকালে আদালতে পাঠানোর সময় আবারও অসুস্থ হলে মনিরুজ্জামানকে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।