
যে কোনো মানুষের সফল হওয়ার পেছনে একটি দীর্ঘ সময় ধরে শ্রম ও সাধনা থাকে। সময়ের মূল্য বুঝে যারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে তারাই তো সফল হয়। তেমনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাওয়া নাটোরের লালপুর উপজেলার দুরদূরিয়া ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের মো.লালন হোসেনের কথা আজ তুলে ধরবো।
নিজের অদম্য চেষ্টার বিনিময়ে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান। এল এম এগ্রো ফার্ম নামের একটি গরুর খামার রয়েছে।
এল এম এগ্রো নামের এই খামারকে প্রতিষ্ঠিত করে আলোর মুখ দেখাতে তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন।ফার্মের চেয়ারম্যান মো.লালন হোসেন জানান,”আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এখানে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের গরু মোটা–তাজাকরণ করা হচ্ছে। উন্নত জাতের দেশী –বিদেশী প্রায় ২ টি ষাড় গরু রয়েছে।এগুলো আসছে ঈদুল–আযহাতে কোরবানির হাটে বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গরু মোটা তাজা করার পেছনে চলছে হাড়ভাঙা খাটুনি। এসব গরুর পরিচর্যায়ও রয়েছে কয়েকজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী। তারা খামারের গরুগুলোর সেবা যত্ন করছেন।
আরও জানান, প্রথমেই আমার ইচ্ছে ছিলো একটি গরুর খামার করার।আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখন আমার খামারে দেশি বিদেশি মোট ৯টি গরু রয়েছে।
শিক্ষিত বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে মো.লালন হোসেন বলেন, আমাদের দেশে অনেক তরুণ আছে শিক্ষা জীবন শেষ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছে না। আমি বলতে চাই, নিজে উদ্যোগী হোন। প্রথমে স্বল্প পুঁজিতে ২/৩ টি গরুর পাশাপাশি হাঁস–মুরগী পালন করুন। দেখবেন একদিন নিজে স্বাবলম্বী হয়ে গেছেন।“