
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রায় ১৩ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর স্বামীসহ তাকে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফুল, মো. সুমন ও জামাল। তারা সবাই উপজেলার দেবই বোচারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকেই আব্দুর রহমান ও খাদিজা বেগমের মধ্যে কলহ শুরু হয়। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বের হন। বাড়ি ফেরার জন্য তিনি সহকর্মী আমেনার সঙ্গে গাউছিয়া জুট মিলের পেছনে আসেন। সেখানে আব্দুর রহমান আগে থেকেই ছিলেন। রহমান ও খাদেজা আলাদা অটোরিকশায় করে চলে যান। পরে ১৬ আগস্ট সকাল ১১টায় উপজেলার বোচারবাগের রমিজ উদ্দিনের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, পারিপারিক কলোহের জেরে আ. রহমান তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়াটে লোক নিয়ে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তুলে আনা হয়। পরে স্বামী আ. রহমানসহ ভাড়াটে লোক দলবদ্ধভাবে খাদিজা বেগমকে ধর্ষণ করে পাশের একটি ডোবাতে তাকে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে চুক্তির ১০ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়াটে খুনিরা ওই রাতেই আ. রহমানকে গলাকেটে হত্যা করে স্ত্রীর পাশেই ডোবাতে ফেলে চলে যান। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।