
নেছারাবাদ(পিরোজপুর):
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সংঘবদ্ধ এক দল ভূমি খেকো ফসলি জমি কেটে বালু ফেলে ধ্বংস করছে তিন ফসলি জমি। এতে হুমকির মুখে পড়ছে উপজেলার সম্ভবনাময় কৃষি খাত সহ জীববৈচিত্র। ভূমি খেকোরা মানুষের দ্বারে দ্ধারে গিয়ে কবলা করে নিচ্ছে তাদের তিনফসলি জমি। পরে সেই জমিতে পুকুর কাটা সহ আশে পাশে বালু ফেলে গড়ে তুলছেন আবাসিক এলাকা। এতে একধারে যেমনি পরিবর্তন হচ্ছে জমির শ্রেনী তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশ এলাকার কৃষি ও জীববৈচিত্র।
উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভাধীন ভূমি দালাল হিসাবে সর্বজন পরিচিত জনৈক আব্দুর রহিম প্রভাবশালি কিছু মহলের লোকদের ম্যানেজ করে ধারাবাহিক এ কর্মকান্ড চালিয়ে তিনি এখন কোটি, কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। উপজেলার ভূমি অফিসের কিছু লোক থেকে শুরু করে গুটি কয়েক প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তিনি এ দৌরাত্ম চালাচ্ছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুর রহিম।
সম্প্রতি আব্দুর রহিম নেতৃত্বাধীন চক্রটি উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ রোড সংলগ্ন বিশাল একটি ধানি জমি কবলা করেন। দলিল করেই সেই তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বালু ফেলেছেন ক্রয়কৃত বিস্তৃত ফসলি মাঠজুড়ে। তিন ফসলি জমি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আশপাশ এলাকার ক্ষতির সম্ভবনায় ইতোমধ্য চক্রটির কাজ বন্ধ করে রেখেছেন স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির।
এভাবে অবাধে ফসলি জমি নষ্ট করে অবাধে মাটি কেটে জমির শ্রেনি পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বলেন, কলেজ রোডে ওই জমিটি আমার নয়। জায়গার মালিক কমল দত্ত। তিনি আমাকে বলেছেন জমিটি বেচে দাও তোমাকে কিছু দিব। এছাড়াও একাধিক ফসলি কিনে মাটি কেটে জমির শ্রেনি পরিবর্তনের বিষয়ে পুনরায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমি আমি যা কিছু করব তাতে কার কি?
নেছারাবাদ সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাপশ পাল বলেছেন, “ইচ্ছে করলেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবেনা। এক্ষেত্রে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে পিরোজপুর ডিসি মহোদয়ের অনুমতি লাগবে।”
এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, “আমি বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”