
মোঃ ইকবাল মোরশেদ স্টাফ রিপোর্টার।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম ফেইসবুক লাইভে আসা মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ফটিকউলীর বাসিন্দা ওয়ালিউর রহমান নয়ন (১৯) নিহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলাকার ইউপিসদস্য। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন ওই তরুণ।
হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর থেকেই দীর্ঘসময় নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে সেখানে কর্মরত এলাকার কয়েকজন বিষয়টি নিশ্চিত হন যে সে মারা গেছে। রাত প্রায় ২টার দিকে নয়নের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্ক ভিউ হাসপাতালে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, তার বাবা আশিক আলী। পরিবারে ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৩/৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন আলম ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। এ বিষয়ে সেখানে কর্মরত তাজুল ইসলাম বলেন, তারা দীর্ঘদিন থেকে সেখানে কাজ করেন।
বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও সেখানে তার বড় ভাই ফখরুল ইসলামসহ কয়েকজন কাজ করে। তারাই ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন কুমিরা এলাকার সোনাইছড়িতে বিএম ডিপুতে তারা কাজ করতেন।
নয়ন সেখানে গার্মেন্টস এর মালামাল গাড়িতে উঠানামার কাজে ছিল। জানা যায়, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্রগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ সময় লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিল ওয়ালিউর ওরফে নয়ন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে হাতের মোবাইল ছিটকে যায় নয়নের। তারপর চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও নয়ন কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি।
এদিকে আজ রবিবার সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে নয়ন মারা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভাগ্য বদলে ৩/৪ মাস পূর্বে চট্টগ্রামে যাওয়া বড় ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা আশিক আলী। নয়নের চাচা সুন্দর আলী রোববার দুপুর দেড়টায় জানান, তাদেরকে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য বলা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে নয়নের লাশ আনতে রওনা হয়েছেন।