বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪১ হাজার ৮১৭টি বিভিন্ন প্রকার যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে মোট তিন কোটি ৯০ লাখ ছয় হাজার ৫০ টাকা। এদিন আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে এক হাজার ৭৭৮টি যানবাহন কম পারাপার হয়েছে। এর আগের দিন একই সময়ে ৪৩ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হওয়ায় সেতুর পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী জানান, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (৮ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত সেতু দিয়ে ৪১ হাজার ৮১৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরের পথে ২৯ হাজার দুটি। আর উত্তরের দিক থেকে ঢাকার পথে ১২ হাজার ৮১৫ টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে মোট তিন কোটি ৯০ লাখ ছয় হাজার ৫০ টাকা।

তবে আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮৮৯টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলমুখী যানবাহন বেশি পার হয়েছে। অপরদিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী লেনে একই সময়ে যানবাহনের সংখ্যা কমেছে পাঁচ হাজার ৬২৭টি।

উত্তরের পথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওযায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক এবং শহরের মধ্য দিয়ে চলা আঞ্চলিক সড়কেও দেখা দিয়েছে নানা ভোগান্তি।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল একই অবস্থা। মালবাহী ট্রাক, খোলা ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। তা ছাড়া মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট লেগেই আছে। অধিকাংশ সময় ধীরগতিতে চলেছে যানবাহনগুলো।

এদিকে মহাসড়কের যানবাহনগুলো ঘুরপথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের মুলিবাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা হয়ে উত্তরাঞ্চলের পথে চলাচল করছে। এ কারণে শহরের কাটাওয়াবদা, বাজার স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও কাঠেরপুল এলাকায় মাঝেমধ্যেই দেখা দিচ্ছে যানজট।

মহাসড়কে হঠাৎ বিকল হওয়া যানবাহন, ফিটনেসবিহীন যান এবং চালকদের আগে চলার প্রবণতা ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালেকুজ্জামান সালেক জানান, মহাসড়কে যখন কোনো কারণে কোনো যানবাহন বিকল হয় বা দুর্ঘটনা ঘটে তখনই দেখা দেয় বিপত্তি। রেকার দিয়ে বিকল হওয়া গাড়ি সরিয়ে নিতে যে সময় ব্যয় হয় ততক্ষণে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। এ ছাড়াও চালকদের লেন না মানার প্রবণতাও ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য সড়কে দিনরাত পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *