ক্রাইম রিপোর্টার জুয়েল আহমেদ :
রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু-সামা। পৌর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা হওয়ার সুবাদে, কাটাখালী বাজার থেকে অদূরে রয়েছে এই নেতার একটি কার্যালয়। অভিযোগ উঠেছে এই কার্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে মাদকের অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় গনমাধ্যমগুলোতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন অমির মাদক সেবনের সংবাদ প্রচারিত হয়।
জানা যায়, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির মাদক সেবনের স্থানটিই কাটাখালী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু-সামার ব্যাক্তিগত কার্যালয়। এ বিষয়টি পাচকান হওয়ার পর দলটির শীর্ষ নেতারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। একাধিক দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আওয়ামীলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা এবং সেবনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে, এমন অভিযোগের সাংগঠনিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে কাটাখালী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সামাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না আর আমার কার্যালয়ে কেউ একটা বিড়িও খায় না। এই চেম্বারে এমন কিছুই হয়না আমরা নিজেরা মাদক খায়ও না, মাদক বিক্রিও করি না। আপনারা যাচায় করেন !
মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরো বলেন, এসব বিষয়ে আমি কখনো জড়িত না। কেউ মাদক বিষয়ে থানাতে ধরা পড়লেও আমি ছাড়াতে যায় না। জেলার সাধারণ সম্পাদক ফেনসিডিল খেয়েছে না কি খেয়েছে সেটিও আমি জানি না।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বাংলার জনপদকে বলেন, দলের মধ্যে কেউ মাদককান্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে, কাটাখালি পৌর আওয়ামীলীগের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাববো।
তবে বিষয়টি নিয়ে পবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে এবিষয়ে স্থানিয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, কাঁটাখালি পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সামার কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক যদি মাদক সেবন করে থাকে। তাহলে সেই কার্যালয় কি মাদক সেবনের আখড়া। কি ভাবে সেখানে মাদক ছাত্রলীগ নেতার হাতে এসেছে তা তদন্ত করে দেখা উচিৎ। আর যদি ছাত্রলীগ নেতা মাদক সেবন করে থাকে তাহলে মাদক ব্যবসার সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার কর্মীরা জড়িতো কি না তা দেখা উচিৎ। আর মাদক সেবন না অন্য কিছু সেবন করেছে কার্যালয়ে বসে সেটাও তদন্ত করে দেখা দরকার।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে একধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে গতকাল এ বিষয়ে একটি গনমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষ্যতকারে অমি বলেন, কাঁটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামার কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সংগঠন নিয়ে কথা বলছিলাম। সে খানে স্পিট এনে খেতে দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সে খানে কোন মাদক সেবন করিনি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সেই সময় কেউ প্রতিহিংসা মূলক ভিডিও করে মাদক সেবন করছি বলে গণমাধ্যম কর্মীদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক আমাকে ফাঁসাতে এমন নাটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন অমি।