মোঃ রবিউল আলম ষ্টাফ-রিপোর্টার।

মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ে’তে হওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে এখন আহাজারি আর শোকের মাতম। নিহত ১৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বাড়িই গোপালগঞ্জে। শোকে স্তব্ধ তাদের স্বজন আর প্রতিবেশীরা।

আদরের মেয়ে আফসানা মিমির মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই আহাজারি থামছে না তার মায়ের। শোকস্তব্ধ স্বজনরাও। শোকাবহ পরিবেশ গোপালগঞ্জ শহরের হিরাবাড়ি এলাকা জুড়েই। নিহতের স্বজনরা জানান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন আফসানা। মাস্টার্সের সার্টিফিকেট নিতে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে রওনা হন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় তাকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে।

শিবচরে এক্সপ্রেস হাইওয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নরপাড়ার বনগ্রামের মোস্তাক শেখের। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার স্বজনেরা। ৩ বছর আগে পরিবারের টানে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন মোস্তাক। সুখের সংসারে তার দুই ছেলে আর স্ত্রী আছে। আবারও বিদেশে পাড়ি জমানোর কাজ সারতেই রোববার ঢাকায় যাচ্ছিলেন ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে। কিন্তু ভাগ্য তাকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য গন্তব্যে।

এদিকে, শহরের নবীনগরে নিজ বাড়িতে সৌরভী আলমের মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। নিহতের পরিবার জানায়, ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে লেখাপড়া করতেন সৌরভী। কয়েক দিন আগে বাড়ি আসেন। সকালে ৬ মাসের মেয়েকে নানীর কাছে রেখে, বাবা মাসুদ আলমের সাথে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝপথেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সৌরভী। গুরুতর আহত বাবা মাসুদ আলম এখন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এমনই মর্মান্তিক আর হৃদয়বিদারক পরিবেশ নিহতদের বাড়িতে। এক ঝটকায় রাতারাতিই যেন বদলে গেছে এসব পরিবারের জীবন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *