
রুহুল আমিন,জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।
দৈনিক গণকণ্ঠ ও আইপি টিভি
৭১ বাংলার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৫৮) ও আফাজ উদ্দিনের ছেল বাবুল মিয়া(৩০)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলজাজতে পাঠানোর আদেশ দেন ।
এদিকে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোবারক হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা। হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা এলাকায় জালাল সাধুর চায়ের দোকানের সামনে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আতর্কিত হামলা করে রাজিব ও তার লোকজন। এসময় আবুল কালাম আজাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
এ ঘটনায় রাজিবসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ। মামলার অন্য আসামীরা হলো-প্রধান আসামী রাজিবের ছোট ভাই ইমন, সুদক্ষিরা গ্রামের মৃত কুদ্দুসের ছেলে ইব্রাহিম খলিল, তার ছেলে দিপু ও একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়া। এদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ও বাবুল মিয়াকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলজাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।