
সোহেল রানা,কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কোমরগঞ্জ গ্রামে প্রেমিক বাইজিদ (২৪) বাড়িতে অনশন করছেন নীলেরকুঠি মেয়ে জেসমিন আক্তার (১৮) । সে চাকিরপশার ইউনিয়নের নীলেরকুঠি গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়,নয়মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে জেসমিনের পরিচয় হয় বাইজিদ সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাইজিদ মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এখন বিয়ের কথা বললে বাইজিদ অজুহাত দেখাতে থাকেন। এখন ভুক্তভোগী মেয়ে বিয়ের দাবিতে বাইজিদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
মেয়েটি জানায়,কিছুদিন আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে রাতে আমার স্বামীর বাড়িতে যায় সেখানে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্ক করে। আমি বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা করেন।
সে বিভিন্ন সময় রাতে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি বিয়ে করার কথা বললে নানা টালবাহানা করে বাইজিদ।
তাই আমি বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে স্বেচ্ছায় বাইজিদের বাসায় এসেছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দিবো বলে জানায় ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে জানতে বাইজিদকে একাধিক বার ফোন করা হলে বাইজিদের ফোন বন্ধ ছিল।
এ বিষয়ে উমরমজিদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসানুল কবির আদিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি শুনেছি মেয়েটি বাইজিদের বাড়িতে এসেছে। দুপক্ষের লোকজনকে নিয়ে বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করছি।