অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিএএফ একাডেমিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে বার্ষিক এ কুচকাওয়াজ শুরু হয়।


এদিকে দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাটে চলছে মাইকিং; ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আশায় বুক বেধেছেন যশোরবাসী। যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককরণ, ভবদহ জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা।

যশোরের সর্বস্তরের মানুষের বক্তব্য, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিনবদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোরের যে স্থানে জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই ভাষণ দেবেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। করোনাকালের প্রায় তিন বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো জনসভায় সশরীরে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

এদিকে, যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে একগুচ্ছ দাবিতে সোচ্চার নাগরিক সমাজ। মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন সচেতন যশোরবাসী।

জনসভার প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, “জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ প্রশস্ত করার পাশাপাশি সমাবেশে আগত লোকজনের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় পর্দায় সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করছি, পাঁচ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে।”

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ পাঁচ বছর পর যশোরে আসছেন। ভাষণ দেবেন এ অঞ্চলের মানুষের উদ্দেশ্যে। সে কারণে মঞ্চ সাজানো হয়েছে লাল গালিচা দিয়ে। তিনি যে পথ দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করবেন সেই পথ থেকে শুরু করে মঞ্চ পর্যন্ত ঝকঝকে চকচকে লাল গালিচায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, “খুলনা বিভাগের দশ জেলার ৮ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে এই জনসভায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *