
যে দেশ খুনিদের আশ্রয় দেয়, যে দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে গোলাগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়, রাস্তায় পা দিয়ে মাড়িয়ে মানুষ হত্যা করে পুলিশ, তাদের থেকে মানবাধিকার শেখার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় মানবাধিকার নিয়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোনো চাপের মুখে কখনো নতি স্বীকার করেনি, করবেও না। আর মানবাধিকার আমাদের শিখাতে আসবে কারা? যারা খুনিদের আশ্রয় দেয়, যে দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে গুলি হয়, ছাত্রছাত্রী মারা যায়, রাস্তাঘাটে পুলিশ গলায় পাড়ায়ে মেরে ফেলে, তো তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে?
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ এগুলো নিয়ে (মানবাধিকার) তারা কথা ওঠাবে, আর আমাদের কিছু লোক নাচবে এটাই। কিন্তু আমাদের যে আত্মবিশ্বাস আছে, আমরা সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই চলবো। জনগণের শক্তি নিয়ে চলবো।
সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতু ও দেশের নানান অঞ্চলে চলমান বন্যা প্রসঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তির সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, আসছে ২৫ জুনই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে দেশজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।