নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন
আমি শৈশব থেকে চট্টগ্রামের যে সমস্ত সাংবাদিকদের দেখেছি আমার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে নানান বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক, সমালোচনা- আলোচনা করতেন, রাতের বেলায় দস্তরখানে বসে রাতের খাবারের সময় হোক বা দুপুরে, সময়ের ঠিক ঠিকানা নেই, বেডরুম ড্রইং রুমের বালাই নেই, আন্তরিক পরিবেশে চলতো আলোচনা, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন জনাব হেলাল উদ্দিন। আমার সাথে উনার পরবর্তীতে সেই অর্থে বিশেষ যোগাযোগ ছিলোনা, তবে সবসময় দেখেছি নগরের নানান সমস্যা নিয়ে আমার বাবার সাথে গভীর রাত অব্দি আলোচনা করার ব্যক্তি যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে হেলাল আংকেল ছিলেন অন্যতম।

এখন সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, মোবাইল ফোন ইত্যাদির যুগে রাজনৈতিক এবং প্রশাসক ব্যক্তিবর্গ নানান ভাবে তথ্য পান, জনমত যানতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিকতার এবং রাজনীতির সেই যুগে এঁরাই ছিলেন জনমত, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তথ্য উপাত্ত পলিসি লেভেলে জানান দেয়ার মূল মাধ্যম।

কখনই শুনিনি হেলাল আংকেল কারো পক্ষে বা নিজের জন্যে কাজ নিয়ে আমার বাবার কাছে এসেছেন। আসতেন শহরের নানান সমস্যা নিয়ে, রাজনৈতিক মেরুকরণের আলোচনা নিয়ে, বাজারে দ্রব্যমূল্যের বিষয় নিয়ে, বড় ব্যবসায়ীদের পরবর্তী ব্যবসায়ীক পদক্ষেপের আলোচনা নিয়ে। প্রিয় হেলাল আংকেলের পরিবারের জন্যে রইলো গভীর সমবেদনা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে জনাব হেলাল উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

চট্টগ্রামের প্রথিতযশা এই সাংবাদিক, যায় যায় দিন পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর প্রধান, জনাব হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর এই অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।

ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না-ই-লাইহে রাজেউন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *