
মোঃ রবিউল আলম ষ্টাফ-রিপোর্টার।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন (৪০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের মাজাট অনন্তপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ( ১৮মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে। স্থানীয়রা জানায়, হেফ্জ পড়তে গত ২ বছর আগে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয় উপজেলার চালিতাঘাটা গ্রামের নুর ইসলাম মোড়লের ১২ বছর বয়সী ছেলে। মাদ্রাসায় অবস্থানকালে ওই ছাত্রকে দীর্ঘ ১ বছর যাবত জোরপূর্বক বলাৎকার করতো হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন। গত সোমবার রাতে মাদ্রাসার ভেতরে তাকে জোর করে বলৎকর করে ওই হাফেজ। পরের দিন সকালে ওই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়।
পরবর্তীতে মাদ্রসার ভেতরে বলাৎকারের বিষয় জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজিত জনতা ওই হাফেজকে আটক করে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনসুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাফরুল আলমের কাছে বলাৎকারের বিষয়টি অকাপটে স্বীকার করে হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত হাফেজ ও ভুক্তভোগী ছাত্রকে হেফাজতে নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে চাইলে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফরুল আলম বলেন, বলাৎকারের বিষয়টি তার কাছে স্বীকার করেন হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুলিশ বলৎকারকারী হাফেজ ও ভুক্তভোগীকে থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।