সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চাঞ্চল্যকর ট্রাক হেলপার আল আমিনকে (১৬) অপহরনের পর হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সুরুতজামালের ছেলে। কামারখন্দ থানার ওসি হাবিবুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ মে রাতে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকায় এসিআই গোদরেজ ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে ৩’শ বস্তা সয়া হাই প্রোটিন বোঝাই একটি ট্রাকসহ হেলপার আল আমিনকে অপহরন করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ২৪ মে রাতে পাবনার সাথিয়া উপজেলার মহিষাখোলা এলাকার ভাঙা ব্রীজের পাশে পরিত্যক্ত একটি ট্রাক ও ট্রাকের কেবিনে আল আমিনের গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে এবং ট্রাকটি আটক করে।
এ ব্যাপারে ট্রাক মালিক রেজাউল আলম লেবু অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৫ জুলাই রাতে বেলকুচি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে অভিযূক্ত সাগর আলীকে (২১) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা সয়া হাই প্রোটিন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৬ জুলাই অভিযুক্ত রিংকুকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাগরকে ২৬ জুলাই আদালতে প্রেরন করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। ওই গো-খাদ্য সয়া হাই প্রোটিনসহ ট্রাক ছিনতাই করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্যই হেলপার আল আমিনকে অপহরণ করে সয়া হাই প্রোটিনসহ ট্রাক নিয়ে যায় তারা। তাদের সহায়তা করেন শ্রমিক সর্দার মনসুর। এরআগে তাকেও গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় হেলপার আল আমিন আসামীদের চিনতে পারায় ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যাকান্ডে অংশ নেয় তারা। তাদের মধ্যে সাগর ও রিংকু সহ এ ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।