
মোঃ রিয়াজ
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার।
আমার অধীনস্থ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন জনি নামের এক ব্যক্তি হয়রানির অভিযোগ করে স্থানীয় সরকার বিভাগে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিেযাগ করেছে। এই সংক্রান্ত একটি নোটিশ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই নোটিশকে ইস্যু করে স্থানীয় কক্সবাজার প্রতিদিন নামের পত্রিকা এটি ফুলিয়ে ফাপিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এই নোটিশে কোনো অভিযোগ সূত্র উল্লেখ না থাকলেও কক্সবাজার প্রতিদিনের এই সংবাদের ভাষা, মনগড়া ও উদদেশ্যমূলক কল্পকাহিনী সাজিয়ে অতিরিক্ত করা হয়েছে। এই সংবাদ পড়ে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরদিন থেকে জয়নাল আবেদীন জনি নামের ওই ব্যক্তি কয়েকটি সনদের আবেদন নিয়ে আমার কাছে আসে। তিন-চারটি আমি স্বাক্ষর করে দিই। কিন্তু এরপর আরো দুটি আবেদন নিয়ে আসেন তিনি যাদের পিতা-মাতার ঠিকানা উত্তরবঙ্গের একটি জেলায়। বিষয়টি আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি স্বাক্ষর করতে অক্ষম বলে জানাই । এই ঘটনার পর কয়েকদিন আগে একজন মহিলা তার মেয়েকে ভোটার করাতে আবেদন ফরম নিয়ে আসে আমার কাছে। কিন্তু এই মেয়ের পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র ছিলো না। তাই আমার পক্ষে স্বাক্ষর করা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি আমি এই মেয়ের মাকে বুঝিয়ে বলছিলাম। এর মধ্যে দরজার গোচর থেকে হুট করে আমার সামনে আসে সেই জয়নাল আবেদীন জনি। তিনি এসে আমাকে তুই-তুকারি করে বলে, কে বলে এই মেয়ের আবেদনের স্বাক্ষর করা যাবে না? কাউন্সিলর হইছিস তুই, তোকে আইন শিখতে হবে। এসময় আরো বেশ কিছুক্ষন জনি আমার সাথে নানা ধরণের বাড়াবাড়ি করে। সাথে সাথে বিষয়টি আমি মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) মহোদয়কে অবগত করি। পরে ৯ অক্টোবর জানতে পারি জনি আমার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগে।
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমার ৭নং ওয়ার্ড রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা। এখানে রোহিঙ্গাদের ভোটার ও জন্মনিবন্ধন করানো কয়েকটি অসাধু চক্র রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এখানে আগেই অনেক রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে। তাই আমি যাচাই-বাছাই করে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিই। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে এই অসাধু চক্রটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই চক্রান্ত করে জনি নামের ওই ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেছে। পৌরসভা থেকে জানতে পেরেছি, এই জয়নাল আবেদীন জনি দীর্ঘসময় পৌরসভায় ভুয়া রোহিঙ্গাদের ভোটারের জন্য জন্মনিবন্ধন করতে চেষ্টা করেছে। এর দায়ে একবার আটক করা হয়েছিলো তাকে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আর নোটিশের দোহাই দিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে কক্সবাজার প্রতিদিন। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সাথে এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতাকারীদের উদ্দেশ্য করে বলছি, আমাকে দিয়ে কোনো ধরণের অনৈতিক কর্ম করানো যাবে না।