রতন কুমার রকি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সবাই ছেড়ে গেলেউ শুধু “মা” ই পারেন না অসহায় সন্তান কে ছেড়ে যেতে, ফেলে যেতে 🙂
ঘটনা সিরাজগঞ্জের।
ছবি দুটির ব্যক্তি একজনই। নাম মাহমুদুল হাসান। গ্রামের বাড়ি বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামে। তিনি পেশায় গ্রামীণ ব্যাংকের ছোনগাছা শাখায় কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের শেষের দিকে হঠাৎ দু দফা ষ্ট্রোক করেন। আর দু মাস পর চাকুরী থেকে অবসরের যাওয়ার কথা ছিলো তার। ছিলো পরিবার নিয়ে নানা পরিকল্পনা। তার পরিবারে এক পুত্র সন্তান বর্তমানে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে এবং এক কন্যা সন্তান ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।ষ্ট্রোক করার পর প্যারালাইজড হয়ে যায়। কথা বলতে পারেন না। খাবার খান পানি জাতীয়। বর্তমানে তার মা এবং ছোট ভাই তাকে সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অভাবের সংসারে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তার বেতনের টাকা উঠাতেন তার বউ এবং সেই টাকা স্বামীর পিছনে ব্যয় না করে খরচ করতেন অন্য কোথাও । অবশেষে ২২ বছরের সংসার ত্যাগ করে অসহায় স্বামীকে ছেড়ে চলে গেছে নতুন স্বামীর কাছে। ব্যাংক থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা আপাতত বন্ধ আছে। তার পেনশনের চল্লিশ লাখ টাকা আটকে আছে তার অসুস্থতার জন্য কারন স্বাক্ষর করার মত সামর্থ্য ও নাই। এই মূহুর্তে সিরাজগঞ্জ সদর হসপিটালের ৫ম তলার পুরুষ মেডিসিন কক্ষে ভর্তি আছে।
প্রথম ছবিতে তার পাশে তার মা (আজকে তোলা)
দ্বিতীয় ছবিটি ২০১৯ সালের শেষের দিকে তোলা।
সিরাজগঞ্জের গ্রামীণ ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার চাইলেই এই পরিবারের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে পারেন তবে আমার উদ্দেশ্য মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যে, আমরা আসলে কিসের মোহে পড়ে আছি????????
তথ্যগুলি ওনার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া।