পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড রক্ষা এবং ০৩ ও ০৪নং ক্রসবাঁধের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জের গভীরতম স্রোতাধারা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই যমুনা নদী ব্যবস্থাপনা বজায় রাখতে হবে। আগামী ১ মাসের মধ্যে জমির মালিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে।
শনিবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে দাবিদার ভূমি মালিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গন রক্ষার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের জনসাধারণের আর্থ- সামাজিক অবস্থানের উন্নয়ন সম্ভব। কিছু জটিলতার কারনে মালিকরা তাদের জমির টাকা পাইনি। জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, প্রকল্প পরিচালক লেপ্টেনেন্ট কর্ণেল মাহাতাব উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার)পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ মোবারক হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্বার্থরক্ষা কমিটির সভাপতি এসএম মনজুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বেজা ও বিসিক উভয় প্রতিষ্ঠান ভূমি অধিগ্রহনের আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে বেজার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এ জেলার যমুনা নদী থেকে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের মোট জমির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮১ একর। যার প্রায় ৫৮৪ একর জমি ব্যক্তিমালিকানা এবং বাকি অংশ ১নং খাস খতিয়ানাভুক্ত, নদী সিকছি অনুমোদনকৃতসহ অন্যন্য সংস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার লক্ষ্যে নদী শাসিত চায়না ক্রস বাঁধ ০৩ ও ০৪ এর মধ্যবর্তী ৮ মৌজার জমি মালিদের থেকে ভ‚মি অধিগ্রহন করা হয়। কিন্তু অধিগ্রহনকৃত জমির ম‚ল্য পরিশোধ না করায় প্রকল্প স‚চনা থেকে জমির মালিকগণ মূল্য আদায়ের দাবীতে একাধিকবার মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে।