শামীমা আক্তার

আমি ডিভোর্সি নারী বলে
সবার চোখের বালি
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
অপরাধী হয়ে চলি।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
পরিবারের কাছে বোঝা
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
আমার চলার পথ নয় সোজা।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
সমাজের লোক দেখে বাঁকা চোখে
আমি ডিভোর্স নারী বলে
কলঙ্কিনী বলে লোকে।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
বিয়েতে চায় যৌতুক,
টাকা, ফ্ল্যাট, বেকার ছেলের চাকরি
তা না হলে হবেনা বিয়ে
ডিভোর্সি এই পাত্রীর।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
সমাজের চোখে অপরাধী
বুকে চাপা কষ্ট রেখে
দিবা নিশি কাঁদি।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
ভাঙা জিনিসের মতো ফেলনা ভীষণ
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
অপমানে, অবহেলায়
করতে চাই আত্মহনন।
আমি ডিভোর্সি নারী বলে
পরিবারে, সমাজে,
ভীষণ অবহেলিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত!
তবে ডিভোর্সি পুরুষের বেলায় কেন এমন নয়?
কেন তারা পরিবারের কাছে, সমাজের কাছে
অবহেলিত, অপমানিত নয়?
পুরুষ শাসিত সমাজ তাই?
পুরুষের কোনো দোষ নাই?
সব দোষ কি শুধু নারীর?
অবলা,অসহায়, প্রাণীর?
ডিভোর্স তো শুধু একজনের নয়
নারী, পুরুষ, মানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই হয়।
তাহলে কেন শুধু নারীরাই আমাদের সমাজে অবহেলিত?
কেন লাঞ্ছিত?
কেন অপমানিত?
কেন এই অবিচার?
কেন এই অনাচার?
প্রশ্ন রাখছি
সমাজের কাছে
প্রশ্ন রাখছি
জাতির বিবেকের কাছে।
প্রশ্ন রাখছি
আমি ভীষণ অবহেলিত, অপমানিত, ভীষণ লাঞ্ছিত,
ভীষণ ফেলনা বলে।
প্রশ্ন রাখছি
আমি একজন ডিভোর্সি নারী বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *