সাবওয়ে ট্রাভেলস এন্ড হলিডে হজ এজেন্সির জালিয়াতির কারণে হজে যেতে পারছেন না সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মো. কামাল হোসেন।

শনিবার (১৮ জুন) সকালে নিজ বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বর্ণনা করেন জালিয়াতির পুরো ঘটনা।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন জানান, ২০২২ সালের হজ পালনের জন্য ২০১৯ সালে ঢাকার মোহম্মদপুরের সাবওয়ে ট্রাভলেস এজেন্সি (হজ লাইসেন্স নম্বর-১২৩৩) এর মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করেন। এ সময় তিনি কোম্পানির বৈধ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদারের মাধ্যমে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দেন। যার বৈধ রশিদও তিনি পেয়েছেন। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে আরও এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছর ব্যাংকের মাথ্যমে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা দেন কামাল। কিন্তু চলতি মাসের ১২ তারিখে তিনি জানতে পারেন যে তার হজ নিবন্ধনটি বাতিল করেছে সাবওয়ে হজ এজেন্সি। তবে এর আগে, মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদার তাকে করোনার টিকাসহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে মেডিকেল টেস্ট শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর হজ্বে যাবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলেন। কামাল হোসেন এহরামের কাপড় কেনাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করার পর জানতে পারেন যে মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদার তাকে রেখে অন্য একজনকে সাথে নিয়ে হজ পালন করতে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

কামাল মোবাইলে যোগাযোগ করলে জোয়ারদার জানান, তার ছেলে আবির তাকে নিয়ে সৌদি আরব আসবে। এরপর তিনি ঢাকায় যোগাযোগ করে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ করেন। একই সাথে হজ অফিস ও হাবেও বিষয়টি জানান তিনি। তবে এখনও কোনো অফিস কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন, যাতে হজযাত্রী কারো সঙ্গে এমন প্রতারনা করার সুযোগ আর অন্য কেউ না পায়।

মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদারের ছেলে আবির জানান, ভুলবসত তার নিবন্ধনটি বাতিল হয়েছে। 

স্থানীয় ইব্রাহিম হোসেন ও তানভির মণ্ডল জানান, এর আগে আমারা হজে যাবার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সাথেও জোয়ারদার আলী প্রতারণা করেছেন।

যোগাযোগের জন্য সাবওয়ে ট্রাভেলস এজেন্সি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য কল করা হলেও এজেন্সির কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *