নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন খামার খামার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় আজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অদায়িত্বশীল আচরণের দরুন হারাতে বসছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, নেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি, শিক্ষার মান সহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ, এমনকি যত্ন নেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অক্টম শ্রেণীতে মাত্র পাঁচজন(০৫) শিক্ষার্থীকে নিয়ে গনিত ক্লাস করাচ্ছিলেন কর্তব্যরত শিক্ষক। অক্টম শ্রেণীতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা জানতে চাইলে কর্তব্যরত ঐ শিক্ষক বলেন, ‘৭০-৮০ জন হবে’।
অন্যদিকে, একজন শিক্ষিকা একই সাথে ৬ষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন। যদিওবা বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ১৬জন। ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে মাত্র তিন (০৩) জন এবং সপ্তম শ্রেণীতে মাত্র পাঁচ (০৫) জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনি একইসঙ্গে ভিন্ন দুইটি ক্লাসে পাঠদান করাচ্ছিলেন। যদিওবা দশম শ্রেণীতে একটি মাত্র শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানতে চাইলে খামার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, ” আমার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০০ এর মতো শিক্ষার্থী আছে”। উপস্থিতির এমন শোচনীয় অবস্থার কারন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রতিবেদককে জানান, “বর্তমানে কাম-কাজের দিন হওয়ায় এবং নতুন ভবনের কাজ চলায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না”।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান,” প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আজিজের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীন আচরণের ফলে এবং সঠিকভাবে পাঠদান না হওয়ায় তাদের কোমলতি সন্তানেরা বিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন”। সর্বপরি, ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক এমন বেহাল দশার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার গন্যমান্য সচেতন ব্যাক্তিবর্গ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.টি.এম নুরল আমিন শাহ্ জানান, “শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়টি বেশ দুঃখজনক। সেই সঙ্গে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারা সকল অব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব”।