মোঃ আবু জাহিদ স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া ঃ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের আমতলা মোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ঢাকায় একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকুরী করেন।
(৩১ মে ২০২৩) তারিখে বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, টিনশেডের আধাপাকা বাড়িটি ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বাড়ির পিছনের প্রবেশপথের দরজা ভাঙা। বাড়ির বারান্দার গ্রিলের তালা ও একটি কক্ষের দরজার ছিটকানি ভাঙা। দুটি কক্ষের মালামাল অগোছালো অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ডাকাতির খবর শুনে দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।এ সময় বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোছা. শিউলি খাতুন বলেন, তখন রাত আনুমানিক তিনটা বাজে। সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। এ সময় ডাকাতরা গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ধরে টান দিলে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙে দেখি রুমে ৬ জন লোক। তাদের মধ্যে চারজনের মুখ ঢাকা, তিনজনের হাতে পিস্তল, অন্যদের হাতে শাবল (দেশীয় অস্ত্র) ও চাকু।তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চুপচাপ থাকতে বলে। তাদের কথামতো ভয়ে সন্তানদের নিয়ে অস্ত্রের মুখে চুপচাপ ছিলাম।

তার ভাষ্য, ডাকাতরা প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে। তার গলায় থাকা রকেটসহ একটি স্বর্ণের চেন, ঘরে থাকা একটি আংটি, এক জোড়া কানের দুল, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ছয়-সাত হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।চৌরঙ্গী বাজারের ওষুধ বিক্রেতা আব্দুল গণি ও পান্টি বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী পল্লভ আহমেদ জানান, একের পর এক অস্ত্র ধরে ডাকাতি হচ্ছে। এতে মানুষ জান-মাল নিয়ে খুব আতঙ্কিত। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানান, অনেক দিন পরে তার ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সবগুলো ডাকাতি একই স্টাইলে হচ্ছে। কোনো একটি চক্র সংঘবদ্ধভাবে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে চরম ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কুমারখালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিলকিস খাতুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *