ইন্দ্র্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ

খুলনার বটিয়াঘাটায় হাঁসের খামারে লাভবান হচ্ছে খামারীরা। প্রতিবছর এ উপজেলায় কয়েক লক্ষ হাঁস উৎপাদন করে মাংস ও পুষ্টির চাহিদার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে অনেকে। এ অঞ্চলে হাঁসের মাংসের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। উক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে খামারিরা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হাঁস উৎপাদন করে এ অঞ্চলের মানুষের হাঁসের মাংসের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খুলনা জেলা শহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করে বেকারত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তারা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক জলমা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়ার হাট—বাজারে হাঁসের মাংস কেঁটে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। প্রতি হাঁসের পিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা এবং কাঁটা হাঁসের মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা। এব্যাপারে জলমা ইউনিয়নের চক্রাখালী গ্রামের হাঁস খামারী প্রতাপ মল্লিক ও মনিমালা রায়’র কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁসের চাষ করছি। হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য অধিক হওয়াতে উৎপাদন খরচ বেশি তাই আমরা আশানুরুপ ভাবে লাভবান হতে পারছিনা। উক্ত দপ্তর যদি আর্থিক ও ঔষধ সহায়তা প্রদান করে তা হলে আমরা খামারিরা আরো বেশি লাভবান হবো। সাপ্তাহিক জলমা হাটের মাংস বিক্রেতা হাটবাটি গ্রামের কার্তিক রায় জানান, ১ কেজি ৬/৭ গ্রামের একটি হাঁস ৫’শ টাকা দিয়ে ক্রয় করে উক্ত হাঁসের মাংস বিক্রয় প্রক্রিয়ায় আনতে যে খরচ হয় তার পর প্রতি কেজি ৫শ ৫০ টাকা বিক্রি করে সামান্য লাভ হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল । এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ পলাশ কুমার দাস এ প্রতিবেদককে বলেন, এ উপজেলায় প্রতি বছর হাঁসের মাংসের চাহিদা অনুযায়ী হাঁস উৎপাদন হয়ে আসছে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী হাঁস পালন প্রতি বছর তা বৃদ্ধিও পাচ্ছে। এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২’শ ৬০ টি হাঁসের খামার রয়েছে । কোন হাঁস খামারি কোন সমস্যার কথা বললে তাৎক্ষণিক ভাবে খামার পরিদর্শন করে ঔষধ সহায়তার পাশাপাশি করণীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *