আলমগীর হোসেন (বাগমারা প্রতিনিধি) :
ফুলকপি এখন আর শুধু শীতের সবজি নয়। সারা বছরই বাজারে মেলে সাদা ফুলেভরা কপির। আর অসময়ের এ ফসল ফলিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কৃষকরা। সে কারণেই কৃষকরাও ঝুঁকছেন গ্রীষ্মকালীন এই ফুলকপি চাষে।কৃষকরা মনে করছেন শীতকালীন ফুলকপি চাষের ক্ষেত্রে লাভ বা ক্ষতির একটা আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।উপজেলার মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান এলাকায় আধুনিক কৃষক হিসেবে পরিচিত।এর আগে আলু ও পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়।এবারো তিনি গ্রীস্মকালীন ফুলকপি চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।তিনি জানান, ফুলকপি চাষে যে কোন ক্ষতিকারক কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার না করেই ভালো মানের ফুল কপি চাষ করেছেন। মাত্র সাত শতাংশ জমিতে এক হাজার পঞ্চাশটি ফুলকপির বীজ রোপন করে আশানুরুপ ফল পেয়েছেন।এসব ফুলকপি মাত্র ৬০ দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠেছে।সবশেষ তিনি ৩০টাকা করে একশটি ফুলকপি বিক্রি করেছেন।উপজেল কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাতটি ইউনিয়নের ১০জন কৃষক এবারই প্রথম গ্রীস্মকালীন ফুলকপি চাষ করেছেন। সবাই বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেই সফল হয়েছেন। আমরা কৃষকদের স্বল্প সময়ের মধ্যে অধিক আয়ের পথে নিয়ে যেতে চাই। এছাড়া কৃষিতে উন্নয়নের জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে উপজেলার কৃষকদের বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *