জুয়েল আহমেদ :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। হরিয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম মোল্লাহ্ এর আয়োজনে ও সভাপতিত্বে হরিয়ান সুগারমিল করাইতলায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজজামান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফফার মোল্লা, আবুল হোসেন ও আব্দুর রহিম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন মন্ডল এবং হরিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, মোহাম্মদ ইসলাম আলী ও রুস্তম আলীসহ হরিয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তাঁর ডাকে বাংলার সর্বোস্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধের সময়ে তিনি আটক হলেও তাঁর নির্দেশনাকে কেউ আটক করতে পারেনি। জাতীর জনকের নিদের্শনা মেনে জনগণ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

স্বাধীন দেশে ফিরে তিনি কেবলমাত্র দেশ গোছানোর কাজে হাত দিয়ে এগিয়ে নেয়া শুরু করেছেন ঠিক সে সময়ে বাংলার রাজাকারের দোসর, কিছু বিপদগামী সেনাসদস্য ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে জাতীর জনকসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করেছিলো। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে অমাবশ্যার অন্ধকার নেমে আসে। সকল প্রকার উন্নয়ন থেমে যায়। প্রধান অতিথি আরো বলেন, হত্যাকারীরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকলকে হত্যা করে তাদের নাম ও বংশ নিশ্চিহ্ন করে দেবে। কিন্তু তাঁর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় প্রানে বেঁচে যান।

এখন তাঁরই সুযোগ্য বড় কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরে দেশেকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের দিকে দিকে ধাবিত করছেন। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে জানান তিনি। আর এই উন্নত রাষ্ট্র গড়ার দাবীদার ও সহযোগি হতে জনগণকে আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি এমপি আয়েন উদ্দিন।

বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হরিয়ান বাজার মসজিদের ইমাম আরিফ হোসেন। শেষে উপস্থিত জনগণের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *