সাংবাদিকদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: আবুল বাশার মজুমদার

স্টাফ রিপোর্টার: (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) যারা মফস্বল শহর ও গ্রাম-গঞ্জে সাংবাদিকতা করেন তাদের আমরা অনেকেই ‘মফস্বল সাংবাদিক’ বলি। মফস্বল সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। এই ঝুঁকি এড়াতে অর্থাৎ নির্যাতন প্রতিরোধে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। মতভেদ ও বিভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের পেশাগত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে বলে ব্যাক্ত করেছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দীয় কার্য পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মজুমদার। আজ ১৬ই জুলাই ২০২২ইং তারিখ শনিবার বিকেলে কেন্দীয় কার্য পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মজুমদার এর রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। এ সময় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মো: নুরে ইসলাম মিলনরে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম.এ আরিফের নির্দেশে সংগঠনের কার্যনির্বাহি সদস্য গোলাম রসুল রনকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকাশ,রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক এহেসান হাবীব তারা,সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাবু,সিনিয়র সাংবাদিক জ্যামি রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দীয় কার্য পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মজুমদারকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে ফুলদিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল বাশার মজুমদার বলেন, যৌবনের পুরোটা কেঁটেছে এ সংগঠন এর সাথে। সংগঠনটি যে কারণে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে নাই সেগুলো ওভারকাম করে আমরা কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি সংগঠনের সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একতাবদ্ধভাবে কাজ করলে আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, জাতির বিবেক বলে পরিচিত সমাজের দর্পণ হিসেবে দেশবাসীর কাছে মফস্বল সাংবাদিকদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সমাজের অন্যায় অবিচারসহ সমস্ত ব্যাধি সাংবাদিকরাই চিহ্নিত করেন। সেগুলো তারা তুলে ধরেন লেখনির মাধ্যমে। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে মফস্বল সাংবাদিকরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন তাতে ভবিষ্যতে এই পেশাজীবীরা কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এর উপর রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। এগুলো মেনে নিয়ে কতদিন তারা সত্যের পথে চলতে পারবেন এটাও এখন বড় প্রশ্ন। সাংবাদিকতাকে যারা পেশা হিসেবে নিয়েছেন তাদের হাজারো সমস্যার ভিতর দিয়ে যেতে হয়।
আবুল বাশার মজুমদার বলেন, আগে সাংবাদিকতায় নিয়োগ দেয়া হতো যোগ্যতার ভিত্তিতে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ সাংবাদিক নিয়োগ পান সম্পাদককে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে। অনেক সাংবাদিক রয়েছেন কোনো রকম একটি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারলেই নেমে পড়েন অবৈধ আয়ের উৎসবের সন্ধানে। যারা সৎ এবং নির্ভীক সাংবাদিক তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হন তখন। তাই তিনি মনে করেন এ অবস্থা থেকে এখনই যদি বের হয়ে আসা না যায় তবে এ পেশায় যারা জড়িত রয়েছেন সৎ ও নির্ভীকভাবে লিখতে চান তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে বলে বলেন তিনি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের কার্যনির্বাহি সদস্য, সোহেল রানা,মারুব আহম্মেদ,নাঈম হোসেন,শ্রী বিশ্বজিৎ কুমার,সুরুজ আলী,বাবু,সোনিয়া খাতুন,মিশাল মন্ডল,সাপ্তাহীক অপরাধ দমন পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মো: শফিকুল ইসলাম,রাজশাহী প্রতিনিধি মো: আবুল কাশেম প্রমিানিক,মোসা: রোজিনা পারভিন লাকি,মোসা: নুসরাত আরা স্মৃতি,মো: নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *