টঙ্গী গাজীপুর প্রতিনিধি।।
মাদককের ভয়াবহতার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দারা, সহজে হাতের কাছে পাওয়ায় কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদক কারবারি ও সর্বহারাকারীদের চিনলেও ভয়ে মুখ খুলছে না এলাকার কেউ।

সরোজমিনে অনুসন্ধানে কেরানিটেক বস্তি ও ৪৫ নং ওয়ার্ড নদী বন্দর এলাকায় গিয়ে জানা যায়। কিছু নাম বলতে অনিচ্ছুক মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সোহেল রানার এজেন্টদের মধ্যে নদী বন্দর এলাকায় সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নাজমুল হুদা ও কেরানিটেক বস্তির রহিম এর দ্বারা মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ হয় এই দুইটি এলাকায়।

টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাং এর নিয়ন্ত্রণ করছেন যুবলীগ নেতা সোহেল রানার নেতৃত্বে তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড খ্যাত যুবলীগ নেতা নাজমুল হুদা। নাজমুল হুদা ৪৫ নং ওয়ার্ড মিরাশ পাড়ার সিরাজ মাস্টারের ছেলে। নদী বন্দর এলাকায় ফাস্ট ফুডের দোকানের অন্তরালে তিনি কিশোর গ্যাং সমম্বয়ে মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় নদী বন্দরের নাজমুল হুদা ও কেরানিটেকের রহিমের নিকট থেকে মাদক নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ফেনসিডিল-গাঁজা-ইয়াবাসহ এই ধরনের মাদক ব্যবসা না করলে, তাদের নাজমুল ও রহিম সোহেল রানার মাধ্যমে সেই সব মাদক ব্যবসায়ীকে সোর্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশাসনিক এর হাতে তুলে দেয়। এবং প্রচারণা করে তারা মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকে। আর যদি তাদের কাছ থেকে সেই সকল মাদক নিয়ে বিক্রি করে তাহলে তারা প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শেল্টার দিয়ে থাকে মাদক ব্যবসায়ীদের।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় সোহেল রানার এজেন্ট রহিম এর নামে কয়েকটি মাদক মামলা আছে, ও সেই সব মামলা জেল খেটেও এসেছে। আরো জানা যায় রহিমের এ ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রহিমের গর্ভধারিনী মা।

স্থানীয়দের দাবী, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং তার সহযোগী সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নাজমুল হুদা ও রহিমকে গ্রেপ্তার করলে ওই এলাকায় এমনিতেই মাদক কারবার বন্ধ হয়ে যাবে। গত ২৯ এপ্রিল মানবকন্ঠে মাদকে ছড়াছড়ি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ ও র‌্যাব টঙ্গীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদব্র উদ্ধার ও কয়েক মাদক কারবারিকে আটক করলেও রহস্যজনক কারনে ও অদৃশ্য ক্ষমতাশালী রাজনীতি ব্যক্তিদের শেল্টারে মূল কারবারিদের আটক করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *