স্পোর্টস ডেস্কঃ

ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব যদি হার্দিক পান্ডিয়াকে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোনো ‘ক্ষতি’ নেই বলে মনে করেন সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রি। ক্রিকেটের সূচির কারণেই রোহিত শর্মাকে সরিয়ে এ সংস্করণে পান্ডিয়ার মতো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলে মত তাঁর।

বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত, যেটি শুরু হবে আগামীকাল। অধিনায়ক রোহিতসহ বেশ কয়েক সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন পান্ডিয়া। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ভারতের অধিনায়কত্ব করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। পান্ডিয়ার নেতৃত্ব আলোচনায় আসে সর্বশেষ আইপিএলে। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটানস প্রথম মৌসুমেই শিরোপা জেতে, প্রশংসিত হয় পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বও।

অস্ট্রেলিয়ায় হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হারা ম্যাচে ভারতের খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা হয়। রোহিত মাঠে ঠিক নেতৃত্ব দিতে পারেননি, আলোচনা আছে এমন। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান বলেছিলেন, ভারতের কোনো বিকল্প পরিকল্পনা ছিল না বলে মনে হয়েছে তাঁর। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের ছাপ দেখা গেলেও আইসিসি টুর্নামেন্টে এমন চাপের ম্যাচে সেটি করতে ব্যর্থ হচ্ছে দলটি।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ সংস্করণে ভারতের নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট কোহলি। এরপর ওয়ানডে সংস্করণ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে, টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তিন সংস্করণের দায়িত্বই দেওয়া হয় রোহিতকে।

এখন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া উচিত, ওয়েলিংটনে সাংবাদিকদের এমন বলেছেন বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা শাস্ত্রি, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন একজন অধিনায়ক এলে ক্ষতি নেই। ক্রিকেটের পরিমাণই এখন এমন। একজন ক্রিকেটারের তিন সংস্করণে খেলাটা সহজ হবে না। রোহিত টেস্ট ও ওয়ানডেতে তো অধিনায়কত্ব করছেই। নতুন একজন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক খুঁজলে ক্ষতি হবে না। আর তাঁর নাম যদি হার্দিক পান্ডিয়া হয়, তাহলে সেটিই হোক।’

নতুন অধিনায়কের সঙ্গে ভারতের খেলার ধরনেও পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন শাস্ত্রি। এ জন্য টি-টোয়েন্টির বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়কেও খুঁজে বের করতে হবে, ভারতের ভারপ্রাপ্ত কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণের এমন কথার সঙ্গেও একমত তিনি, ‘আমার মনে হয়, সামনে এগোনোর পথ এটিই, ভিভিএসই ঠিক। তারা বিশেষজ্ঞ খুঁজবে। সামনে এগোনোর ক্ষেত্রে এটিই মন্ত্র হওয়া উচিত। (এমন খেলোয়াড়) খুঁজে বের করা, ভারত দলকে দুর্দান্ত ফিল্ডিং দলে পরিণত করা। তরুণদের জন্য ভূমিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া। যারা কোনো পিছুটান ছাড়াই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারবে।’

তবে নতুন যাত্রায় বেশ কয়েকজনকে বাদ পড়তে হতে পারে, সেটিও জানেন শাস্ত্রি, ‘এর মানে হচ্ছে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দিতে হবে। (তবে) সেটিই করা হোক। তারা (ইংল্যান্ড) তরুণদের নিয়েছিল, যারা ছিল ভয়ডরহীন। যারা নিজেদের খেলার ধরন খুব একটা না বদলেই মানিয়ে নিতে পারে। এটি সহজেই অনুসরণ করা যায়, ভারতে এমন ক্রিকেটারের অভাব নেই। আমার মনে হয়, এ সফর থেকেই সেটি শুরু হতে পারে। কারণ এ দলটা তরুণ, তরতাজা। আপনি খুঁজে বের করে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, দুই বছর পর এ দলকেই পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *