সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলতি মৌসুমে আগাম জাতের ক্ষীরা চাষে ফলন ভালো হয়েছে।
তাই লাভজনক ক্ষীরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে এ বছর। চলনবিল এলাকার ৯ টি উপজেলায় এ বছর প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টরজমিতে ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনুকূলে থাকায় এবং বীজ, সার ও কীটনাশক সঠিক সময়ে পাওয়ায় এই ক্ষীরার বাম্পার ফলন হয়েছে৷
প্রতিবছরের মতো জমে উঠেছে কৃষকদের ক্ষীরা বিক্রির ঘাটি হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দিঘরিয়া ক্ষীরার আড়ৎ। এছাড়া রানীরহাট, মান্নান নগর, কোহিত ও হাটিকুমরুলসহ ১৭টি গ্রামঞ্চলে গড়ে উঠেছে ক্ষীরা বিক্রির অস্থায়ী আড়ত।
প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ পাইকার ও বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠে হাট। বেচা-কেনা হচ্ছে শত শত টন ক্ষীরা।চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশে উৎপাদিত ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশে। তার মধ্যে দিঘরিয়া আড়ত থেকেপ্রতিদিন ৭০ থেকে ৭৫ টন ক্ষীরা যাচ্ছে শুধু রাজধানী ঢাকায়৷
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুলাহ আল মামুন জানান, চলনবিলে ক্ষীরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। কৃষকেরা ক্ষীরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে কৃষকেরা ক্ষীরাচাষে আরো উদ্দ্যেগী হবেন।