তানোর (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার সাদিপুর মহল্লায় রাতারাতি গড়ে উঠা কথিত পদ্মা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মুন্ডুমালা ইউপি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে গড়ে উঠা মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, মুন্ডুমালা সাদিপুর মহল্লার বাবু সাদিপুর মহল্লায় অবৈধভাবে পদ্মা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টার গড়ে তুলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে।অন্যদিকে প্রকাশনগর মহল্লার হাজি আব্দুল মালেকের পুত্র তোহিদুল ইসলাম পৌরসদরে স্কুল শিক্ষক আব্দুল করিমের বাড়িতে সরকারের কোনো অনুমোদ ছাড়াই রাতারাতি মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে একই ঘরে অবৈধভাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো ও বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিন ২৩ জুন বৃহস্প্রতিবার দেখা গেছে, ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম দিয়ে মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। অথচ এখানে কখানো কোনো চিকিৎসক আসে না এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্নয়ের কোনো যন্ত্রপাতি নাই। স্থানীয়রা জানান, ওষুধ বিক্রেতা তোহিদুল ইসলাম চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন ভ্রাম্যমান পরিচালনা করলে তারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তারা চলে আসেন। কিন্ত্ত তারা পরদিন থেকে বাইরের দরজা বন্ধ করে ভিতরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
মুন্ডুমালা ইউপি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা দুরুল হুদা বলেন, মুন্ডুমালা ডায়াগণষ্টিক সেন্টার একটি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান এখানে কোনো চিকিৎসক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি নাই। তিনি বলেন, ওষুধ বিক্রেতা তোহিদুল এসব দেখাশোনা করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তোহিদুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা আবেদন করে ডায়াগণষ্টিক সেন্টার চালাচ্ছেন।তিনি বলেন, শুধু তার প্রতিষ্ঠান কি অবৈধ না আরো আছে, সেগুলো চললে তারটিও চলবে। এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান কোনো ভাবেই এসব প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না বলে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও কেউ চালালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, কোন ছাড় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *