সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভি.এস.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, দূর্নীতি ও জাল সনদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগে জানা যায়, তাড়াশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এ ভিএসএ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানি শক্ষক সাইদুর রহমান নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, ফরম ফিলাপের ভর্তুকির টাকা আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়াও জাল সনদে নিয়োগ, এনটিআরসিএ যাওয়া নিয়োগ শূন্য না দেখিয়ে ব্যাকডেট দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক নিজেও জাল সনদে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ বিএড কলেজ থেকে যে রোল ও রেজি: নম্বরের সনদে তিনি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। সেই একই রোল ও রেজি: নম্বরের দাবীদার একাধিক ব্যক্তি বলেও শোনা যায়।

এসব বিষয়ে জানতে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। সম্প্রতি সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে অনলাইনে আমিনুল ইসলাম নামে একজনের নাম দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে এসে দেখা যায় ওইপদে নাসিমা আক্তার নামে অপর একজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ইংরেজী শিক্ষক অমূল্য ও লাইব্রেরীয়ান রুপালী পারভিনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।

প্রধান শিক্ষকের বিএড সনদ জাল উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেড়িয়ে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ায় কতিপয় ব্যক্তি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন প্রকার অভিযোগ আমাদের দপ্তরে আসেনি। আর ওই বিদ্যালয়ে তো কোন নিয়োগই হয় নাই, নিয়োগ বানিজ্য হবে কি করে এমনটাই দাবী করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *